জুমবাংলা ডেস্ক : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কুপিয়ে জখম করার ১০ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এর আগে গত ২৮ জুলাই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কলাপাড়ার উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ইতোমধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি নোমান হাওলাদার, খলিল হাওলাদার, নয়ন বয়াতী ও রুবেল সিকদারকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় অস্ত্র। মামলায় ছাত্রলীগের মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের বহিষ্কৃত সভাপতি তরিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত রুবেলকে মাস্টার মাইন্ড হিসেবে আখ্যায়িত করছেন স্থানীয় মানুষ।
মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম তার বড় ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম রায়হান (২৬)সহ বেশ কয়েকজন রাকিবুলের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রাকিবুল ইসলামের ডান হাতের কব্জি কর্তন এবং মারাত্মক জখম করা হয়। এ ঘটনার পর উভয় গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুলের বড় ভাই রায়হানও আহত হয়। রাকিবুল ও রায়হানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।