জুমবাংলা ডেস্ক : গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ঠাই না পেয়ে রাস্তায় অটোরিকশায় সন্তান প্রসব করেছেন এক প্রসূতি। সোমবার (৬ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে দুশ’ গজ যাওয়ার পর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় সন্তান প্রসব করেন তিনি।
ওই মায়ের নাম মিষ্টি আকতার (২০)। তিনি সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী।
ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের অভিযোগ, প্রসব বেদনা উঠলে দ্রুত মিষ্টিকে একটি অটো বাইকে নিয়ে গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের রওনা দেন তারা। মিষ্টি আকতারকে নিয়ে এলে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্বরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা তৌহিদা বেগম কোনো রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলাকে অন্যত্র নিয়ে যেতে বলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার অনুরোধ করা সত্বেও তৌহিদা বেগম তাদের কথায় কান দেননি। সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ২০০ গজ দূরে মধ্যপাড়া সরকারি বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় ব্যথায় চিৎকার শুরু করেন অন্তঃসত্ত্বা মিষ্টি। পরে রাস্তার মধ্যেই অটোরিকশায় ফুটফুটে ছেলে সন্তান প্রসব করেন। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে দেখতে পায় রাস্তার উপর অটোবাইকে একটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন একজন মা। সন্তান প্রসবের পর মায়ের প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এ সময় উৎসুক জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ঘেরাও করে। পরে বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ তাকে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি করে নেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সমাজসেবক ওয়াজিউর রহমান র্যাফেল বলেন, মাতৃসদনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এ ধরনের ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটিয়ে থাকেন। তারা রোগী না দেখেই ক্লিনিকগুলোতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
গাইবান্ধা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদ আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং সংশ্লিষ্টদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, করোনা আতঙ্কে যদি কোনো কর্মচারী রোগীদের সাথে এ ধরনের আচরণ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বিষয়টিকে অত্যন্ত দুঃখজনক আখ্যায়িত করে নবজাতক ও তার মাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. সেকেন্দার আলী বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মোবাইল ফোনে জানান, তিনি কাগজপত্র দেখে রোগীর স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব সম্ভব নয় বলে ফিরিয়ে দেন। সূত্র : সময় নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।