জুমবাংলা ডেস্ক : হিন্দু সেজে বিয়ের আট বছর পর স্ত্রীর কাছে ধরা খেয়ে প্রতারক ইউসুফ আলী ওরফে ইমন ঘোষ এখন কারাগারে। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নাপুর ইউনিয়নের ঐচারমাঠ গ্রামে এঘটনা ঘটে। ইউসুফ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার তারালিয়া গ্রামের কুরুশ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় বুধবার (১৭ ফেব্রয়ারি) রাতে প্রথম স্ত্রী তাপসী বাদী হয়ে ইউসুফকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রয়ারি) দুপুরে ওই মামলায় ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাপসী ঐচারমাঠ গ্রামের মৃত অটল বাড়ৈর মেয়ে।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, আট বছর আগে আগৈলঝাড়ার ঐচারমাঠ গ্রামের তাপসী বাড়ৈর সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ইউসুফ আলী তার নিজের পরিচয় ও ধর্ম গোপন রেখে ইমন ঘোষ পরিচয়ে হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে ইমন স্ত্রী তাপসীর বাবার বাড়ি থেকেই রাজমিস্ত্রীর কাজ করে ঘর সংসার চালিয়ে আসছিলো। তাদের দাম্পত্য জীবনে অপূর্ব নামে চার বছরের ছেলে রয়েছে। সন্তান হবার পর থেকে ইমন উধাও হয়ে যায়।গত চার বছর আগে প্রথম স্ত্রী তাপসীর বিনা অনুমতিতে ইউসুফ আগের মতো নিজের পরিচয় ও ধর্ম গোপন রেখে একইভাবে ইমন ঘোষ পরিচয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলার একই ইউনিয়নের তালতারমাঠ গ্রামের অতুল বেপারীর মেয়ে বৃষ্টি বেপারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে তাকে বিয়ে করে। এরপর পার্শবর্তী বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের সুপেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে দ্বিতীয় স্ত্রী সাথে বসবাস শুরু করে ইমন ওরফে ইউসুফ।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরপরই থানার এসআই শফিউল ইসলাম প্রতারক ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।