জুমবাংলা ডেস্ক: নিছার উদ্দিন। বয়সের হিসেব ৬০ এর কাছাকাছি। হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজায় অংশ নিতে চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় এসছেন ফরিদপুর থেকে। তিনি বলেন, হুজুরকে ভালোবাসি তাই জানাজায় পড়তে এসেছি। এই জীবনে কোনও জানাজায় এত লোক দেখিনি। কয়েক লাখ মানুষ হবে।
জানাজা পড়তে আসা ফয়েজ আহমদ (৫৫) নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, জীবনে অনেক জানাজার নামাজ পড়েছি। এতো লোক দেখেনি। মাদরাসা মাঠ ভরে লোক কয়েক কলোমিটার এলাকা জুড়ে ছিল। চার-পাঁচ লাখ মানুষ হবে।
আজ দুপুর ২টার দিকে হাটহাজারী মাদরাসা প্রাঙ্গণে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বড় ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ। এই জানাজায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ বিভিন্ন দলের রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, আলেমসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে কয়েকলাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশ নেন।
এর আগে ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছেন লাখো ভক্ত-অনুসারীরা। জনতার ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় প্রশাসনকে। একপর্যায়ে হাটহাজারী বাস স্ট্যান্ড থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। হাটহাজারী থেকে অক্সিজেন পর্যন্ত যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। অনেকে তীব্র রোদের মধ্যে দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে জানাজায় অংশ নেন। পুরো এলাকাজুড়ে বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরও নিয়োজিত করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা থেকে আল্লামা শফীর মরদেহ পৌঁছায় তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল হাটহাজারী মাদরাসায়। এরপর তার মরদেহ দেখার জন্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এছাড়া শাহ আহমদ শফীর জানাজা ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ চার উপজেলায় বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তদারকিতে আছেন সাত ম্যাজিস্ট্রেট।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।