জুমবাংলা ডেস্ক: অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলায় ঢাকা-৮ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১৩ বছরের কারাদণ্ড কমিয়ে ১০ বছর বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গেল ২৪ ফেব্রুয়ারি হাজী সেলিমের ১৩ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করা হয়। সেদিন আদালতে হাজী সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। অপরদিকে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান দুদকের পক্ষে ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন।
গত ৩১ জানুয়ারি হাজী সেলিমের ১৩ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়।
গত বছরের ১১ নভেম্বর হাজী সেলিমের ১৩ বছরের দণ্ডের মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেন হাইকোর্ট। ওই বছরের ৯ নভেম্বর হাজী সেলিমের মামলাটি হাইকোর্টে দ্রুত শুনানির জন্য কার্যতালিকাভুক্ত করতে উপস্থাপন করা হয়।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলা করে। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।