আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন ও অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় লোকসভায় বিরোধীদের নাস্তানাবুদ করে ছাড়লেন লাদাখের বিজেপি সাংসদ জাময়েন সেরিং নামগয়াল। বললেন, কাশ্মীরকে তাড়ানো হয়েছিল পণ্ডিতদের? তখন কোথায় ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা? লাদাখে বৌদ্ধদের খতম করা হয়েছে। তখন কোথায় ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা?
এদিন লোকসভায় লাদাখের বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের দাবি করে আসছিল লাদাখ। ভোটের আগে কার্গিল, লেহ-র সব জায়গায় ঘুরেছি। মানুষকে বুঝিয়েছি। মানুষ মোদীর উপরে ভরসা করেছেন বলেই রেকর্ড মার্জিনে জিতে আসতে পেরেছি। লোকেরা মোদী সরকারের উপরে বিশ্বাস করেছে।’
এর পাশাপাশি লাদাখের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ। জাময়েন সেরিং নামগয়াল বলেন, ‘লাদাখের জন্য বরাদ্দ অর্থ খেয়ে নেয় কাশ্মীর। নতুন ৮ জেলা গঠিত হয়েছিল। জম্মুকে ৪ জেলা ও কাশ্মীরকে ৪টি জেলা দেওয়া হয়েছে। লাদাখকে একটাও জেলা দেননি।
এটাই আপনাদের সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার নীতি? কাশ্মীরি ভাষার লিপি না থাতা সত্ত্বেও মর্যাদা দিয়েছিল ইউপিএ সরকার। কিন্তু অবহেলিত হয়েছে লাদাখি ভাষা। বিশ্ববিদ্যালয় দেওয়া হয়নি লাদাখকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিয়েছেন। ওনার উপরে ভরসা রেখেছেন লাদাখবাসী।’
একইসঙ্গে কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর কথায়,’কাশ্মীরে যখন পণ্ডিতদের রাতারাতি লাথি মেরে তাড়ানো হল, কোথায় ছিল সেকুলারিজম? লাদাখে বলতে বাধ্য হচ্ছি, বৌদ্ধদের খতম করা হয়েছে।
লাদাখকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ করার চেষ্টা চলেছে। তখন কোথায় ছিল সেকুলারিজম? মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কার্গিল ও বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ লেহ ভাগ করে কে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি কে করেছিল?’
এদিন লাদাখের বিজেপি সাংসদ লোকসভার অধিবেশনে নজর কেড়ে নিয়েছেন। তাঁর তথ্যসমৃদ্ধ ভাষণে ক্রমাগত হাসতে ও টেবিল চাপড়াতে দেখা গিয়েছে অমিত শাহকে। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁর ভাষণের তারিফ করে ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন টুইটারে। সকলকে একবার শোনার আবেদনও করেছেন।
রাজ্যসভার পর মঙ্গলবার লোকসভাতেও পাশ হয় জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল। পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৭০টি। বিপক্ষে ৭০টি ভোট। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের প্রস্তাবে ভোট পড়েছে ৩৫১টি। বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন ৭১জন সাংসদ। ভোটদানে বিরত থেকেছেন একজন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।