আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ছয় বছরের প্রেম। বিয়ের পর প্রথম ভ্যালেন্টাইনস ডে। প্রেমদিবসে স্ত্রীকে গোলাপ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন তরুণীকে নিয়ে চলে গিয়েছেন অনত্র। স্ত্রীকে ফিরে পেতে তালাব’ন্ধ বাড়ির সামনে অনশনে বসলেন যুবক। হাতে পোস্টার, ছবি নিয়ে কার্যত বিপ্লব শুরু করে দেন।
ওই যুবকের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বন্ধুবান্ধবরাও। ঘণ্টা দুয়েক তা স্থায়ীও হয়। কিন্তু পুলিশ আসতে দেখেই সবকিছু গুটিয়ে গাটিয়ে দৌঁড়ে পালিয়েছেন যুবক। শুক্রবার চা’ঞ্চ’ল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরের সরাইটিকরের দক্ষিণপাড়ায়। এখানেই বাড়ি তরুণীর। আর সরাইটিকরেরই চ্যান্ডেলপাড়ায় বাড়ি যুবকের। নাম শেখ রেজাউল। পেশায় ইজিবাইক চালক।
রেজাউল জানান, দক্ষিণপাড়ার ওই তরুণীর সঙ্গে ছয় বছরের ধরে প্রেমের সম্পর্ক। গত জানুয়ারিতে তারা দুজন রেজিস্ট্রি করে বিয়েও করেছেন। কিন্তু এরপরই না কি সম’স্যার সূত্রপাত। এই বিয়ে মানতে পারেননি ওই তরুণীর পরিবারের লোকজন। রেজাউল দাবি করেন, স্ত্রীকে নিয়ে তিনি অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই তরুণীর বড় বোনের বিয়ে হয়নি। তাই এখনই তরুণীর বিয়ে করাটা ঠিক নয়। সেই কারণে বাড়িতে ফিরে আসতে বলেন ওই তরুণীর বাবা।
রেজাউল বলেন, ‘বিশ্বাস করে স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে দিয়ে আসি।’ এরপরই তার সঙ্গে স্ত্রীর যোগাযোগ ব’ন্ধ করে দেওয়া হয় বলে দাবি করেন রেজাউল। তারপর ওই তরুণীর বাবা বাড়ির সকলকে নিয়ে উ’ধাও হয়ে গিয়েছেন। কোথায় গিয়েছেন কেউ জানেন না। বাড়ি তালাব’ন্ধ রয়েছে। রেজাউল জানান, তার সঙ্গে স্ত্রীর যোগাযোগও ব’ন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তার অভিযোগ, তার স্ত্রীর উপর অ’ত্যা’চারও করা হচ্ছে। এদিন সকালে ভালবাসাকে ফিরে পেতে ধরনা শুরু করেন। পরিচিত ও বন্ধুরাও রেজাউলের পাশে দাঁড়ায় এদিন। তাদের সকলের হাতেই বিভিন্ন ধরণের পোস্টার। কোনওটায় লেখা, আমার বিবাহিত স্ত্রীকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও। কোনওটিতে লেখা, ছয় বছর ন’ষ্ট করলে কেন। ওই তরুণীর সঙ্গে ঘ’নি’ষ্ঠ মুহূর্তের বেশ কিছু ছবিও ছিল পোস্টারে।
প্রায় দুই ঘণ্টা পরে পুলিশ আসে ঘটনা’স্থলে। পুলিশ দেখেই অবশ্য সকলেই পোস্টার গুটিয়ে ইজিবাইক নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। শ্বশুরবাড়ি তালাব’ন্ধ থাকায় ওই তরুণী বা তাদের পরিবারের কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করা যায়নি। স্থানীয়দের অনেকেই অবশ্য স্বী’কার করেছেন রেজাউলের সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্কের কথা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।