স্পোর্টস ডেস্ক: কোপা দেল রে’র কোয়ার্টার ফাইনালে গ্রানাডার মাঠে নিশ্চিত হারতে বসা ম্যাচে শেষ মুহূর্তে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল বার্সেলোনা। দুই গোল করে ম্যাচ নিল অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও নাটক কম হলো না। শেষ পর্যন্ত আট গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে গ্রানাডাকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে পা রাখল রোনাল্ড কুমানের দল।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোপা দেল রে’র শেষ আটে নির্ধারিত সময়ে ২-২ সমতার পর অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে ৫-৩ ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা। গত মাসে এই মাঠে লা লিগার ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছিল কাতালান দলটি।
কেনেডি ও রবের্তো সলদাদোর গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া গ্রানাডা দুর্দান্ত এক জয়ের স্বপ্ন দেখছিল। তবে শেষ দিকে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে গ্রিজমান ও জর্দি আলবার গোলে সমতা টানে বার্সেলোনা। অতিরিক্ত সময়ে গ্রিজমানের গোলে বার্সেলোনা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা ফেরান ফেদে ভিকো। পরে ফ্রেঙ্ক ডি ইয়ং ও আলবার গোলে জয়োল্লাসে মেতে ওঠে সফরকারীরা।
প্রথমার্ধে ৬৩ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশে ১১টি শট নেয় বার্সেলোনা, এর ৬টি ছিল লক্ষ্যে। এই সময়ে গ্রানাডার ৩ শটের একটি ছিল লক্ষ্যে, সেটিতেই মেলে সাফল্য।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বার্সেলোনাকে চমকে দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সলদাদো। নিজেদের ডি-বক্সের একটু সামনে থেকে সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনকে পরাস্ত করেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
অবশেষে ৮৮তম মিনিটে গ্রিজমানই কমান ব্যবধান। মেসির ক্রসে কাছ থেকে ফরাসি ফরোয়ার্ডের শট পোস্টে লেগে গোলরক্ষকের পা ছুঁয়ে জালে জড়ায়।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে মেসির শট লাগে পোস্টে। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সমতা ফেরে বার্সেলোনা। এই গোলেও অবদান ছিল মেসির। তার ক্রসে গ্রিজমানের হেড পাসে হেডেই বল জালে পাঠান আলবা।
১০০তম মিনিটে বার্সাকে এগিয়ে নেন গ্রিজমান। বাঁ দিক থেকে আলবার ক্রসে লাফিয়ে হেডে গোলটি করেন তিনি।
দুই মিনিট পর গ্রানাডার কার্লোস নেভাকে সের্জিনো দেস্ত ডি-বক্সে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ঠাণ্ডা মাথার স্পট কিকে সমতা টানেন ভিকো।
১০৮তম মিনিটে বার্সেলোনাকে আবার এগিয়ে নেন ডি ইয়ং। মেসির নিচু শট গোলরক্ষক ফেরানোর পর কাছ থেকে বল জালে পাঠান তিনি। আর ১১৩তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে জয় নিশ্চিত করেন আলবা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।