জুমবাংলা ডেস্ক : সোয়া নয় শতাংশ জমির মামলা নিয়ে গত ১৪ বছর আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন বৃদ্ধা গিয়াস উদ্দিন (৭০)। তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নে দ্বারিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা। আর প্রতিপক্ষ মামুনুর রশিদ একই গ্রামের বাসিন্দা।
আদালতে মামলা চলমান থাকা স্বত্ত্বেও মামলা তুলে নেওয়াসহ প্রতিপক্ষ বিভিন্ন ভাবে বাদীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় বাদী গিয়াস উদ্দিন গত ২ জুন মান্দা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০০৭ সাল থেকে মান্দা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ‘অগ্রক্রয়’ মামলা বিচারাধীন। আগামী ৮ জুলাই শুনানির দিন ধার্য্য রয়েছে। প্রতিপক্ষ আরএস দ্বারিয়াপুর মৌজায় ১৬২ নং দাগে মধ্যাংশে চলাচল পথ রয়েছে। বাদীর চলাচল পথ বন্ধ করতে প্রতিপক্ষের হাল ১৬০ দাগের ঘরের প্রাচীর সংলগ্ন উত্তরাংশে আরএস ১৫৮ নং দাগের দক্ষিনাংশে টিনের প্রাচীর ও খড়ের পালা ভেঙে দেওয়া এবং আরএস ১৬২ নং দাগের মধ্যমাংশের (চলাচল পথ সংলগ্ন) গাছপালা কেটে ফেলার জন্য অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
গত বুধবার (২জুন) দুপুরে নওগাঁ আদালতের বারান্দায় বৃদ্ধা গিয়াস উদ্দিনকে কাগজপত্র নিয়ে বিচারের আশায় ঘুরতে দেখা গেছে।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু তারপরও প্রতিপক্ষ আমার জমিতে থাকা গাছ কেটে ফেলা, প্রাচীর সরিয়ে নেওয়া ও আদালতের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবেহুমকি দিয়ে আসছে। উল্টো প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। এক প্রকার জোরপূর্বক আপস করার চেষ্টা করা হয়েছে। শান্তি বজায় রাখতে থানায় একটি অভিযোগ করেছি।
অভিযুক্ত মামুনুর রশিদ বলেন, ওই জমির মালিক আমি। আমার বাড়ির মিটার দেখা যাচ্ছিল না। এ কারণে টিনের প্রাচীরটি তাকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করার পর গত শনিবার বিষয়টি নিয়ে আপস হয়েছে। তবে গাছপালা তাকে কেটে নেওয়ার জন্য বলা এবং টিনের প্রাচীর সরিয়ে নেওয়ার জন্য বা আদালতের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি। বরং আদালতে যে মামলা চলছে চারবার আমার পক্ষে ডিক্রি পেয়েছি।
প্রসাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন, একটা অভিযোগ করা হয়েছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি শান্তিপূর্ন বজায় রাখতে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে বসে উভয়টপক্ষকে আপস করা হয়েছিল। তবে আদালতের মামলার বিষয়টি জানা ছিল না। আপসের পরও যদি কেউ হুমকি-ধামকি দেয় সেটা তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
মান্দা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান আলী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা যেন বিঘ্ন না ঘটে জন্য উভয়পক্ষকে থানায় আসতে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।