আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডাবলিনের বিখ্যাত ব্রোঞ্জ মূর্তি মলি ম্যালন এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পর্যটক— অনেকেই মূর্তিটির স্তনে হাত দেন, যা তারা সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করেন। তবে এ ধরনের আচরণে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে মূর্তির রঙ।
এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন টিলি ক্রিপওয়েল, যিনি একজন সংগীতশিল্পী এবং ট্রিনিটি কলেজের ছাত্রী। তিনি ‘লিভ মলি এম-অ্যালোন’ অর্থাৎ ‘মলিকে একা থাকতে দিন’ নামে প্রচার শুরু করেছেন। এমনকি মূর্তিটিকে আরও উঁচুতে স্থাপন করার জন্য স্থানীয় মিউনিসিপ্যালিটিতে আবেদনও করেছেন, যাতে এটি মানুষের নাগালের বাইরে থাকে।
কেন গুরুত্বপূর্ণ এই মূর্তি?
ডাবলিন শহরের পরিচিত মলি ম্যালন চরিত্রটি মূলত একটি জনপ্রিয় গানের অংশ। গানে বলা হয়েছে, মলি ম্যালন ছিলেন এক তরুণী ‘সি ফুড’ বিক্রেতা, যিনি শহরের রাস্তায় খাবার বিক্রি করতেন। এই কাল্পনিক চরিত্রের ভিত্তিতেই ১৯৮৮ সালে ব্রোঞ্জের এই মূর্তিটি নির্মাণ করা হয়।
টিলির দাবি অনুযায়ী, গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ৬০ জন ব্যক্তি মূর্তির স্তন স্পর্শ করেছেন ও ছবি তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, অনেকেই বলছেন এটি সংস্কৃতির অংশ, আবার অনেকে এটিকে অনুচিত আচরণ বলে মনে করছেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
স্থানীয় প্রশাসন এখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে। মূর্তিটিকে আরও সুরক্ষিত রাখতে নতুন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
আপনার মতামত কী? এই ঐতিহাসিক মূর্তি সংরক্ষণের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত? কমেন্টে জানান!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।