আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মমির কথা এলেই চলে আসে প্রাচীন মিসরের কথা। প্রাচীন গ্রিস কিং রোমের চেয়েও পুরোনো নিদর্শন জড়িয়ে আছে মিসরীয় সভ্যতায়। কিছুদিন পরপরই মিসরে সন্ধান পাওয়া যায় বিভিন্ন পুরোনো মমির। এবার দেশটির আসওয়ান শহর থেকে উদ্ধার হল ১৪০০টির বেশি মমি। খবর এনডিটিভির।
আজ শুক্রবার মিসরের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ জানিয়েছে, সম্প্রতি আসওয়ান শহর থেকে ৩৬টি সমাধির সন্ধান পেয়েছেন দেশটির প্রত্নতাত্ত্বিকরা। যার প্রতিটি সমাধিতে অন্তত ৩০ থেকে ৪০টি মমি রয়েছে। ইতিহাসবিদদের ধারণা, মমিগুলো ৯০০ বছরেরও পুরোনো।
নীল নদের তীরে অবস্থিত মিসরের প্রাকৃতিক প্রাচুর্য্যের কথা কে না জানে! পৃথিবীজুড়ে সমস্ত ইতিহাসের পাঠে মিসরের অবস্থান। পৃথিবীতে একেক সভ্যতার হাত ধরে এসেছে দিগন্ত উন্মোচন করা নানা অগ্রগতি। বর্তমানে যে শহরে মমি পাওয়া গেছে, এই আসওয়ান শহরটি ৪৫০০ হাজার বছরের পুরোনো। এই শহরে মধ্যে প্রাচীন পারস্য, মিসরীয়, রোমান, গ্রিক এবং আফ্রিকানরা বসবাস করত।
প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি বিশেষ দল ৫ বছর ধরে অনুসন্ধান করে এ মমিগুলো আবিষ্কার করেছে। মনে করা হচ্ছে, এখানে যাদের সমাধিস্থ করা হয়েছিল তাদের বেশিরভাগ সংক্রামক রোগে প্রাণ হারিয়েছেন। সে সময়েও যে শ্রেণি-প্রথা ছিল তার বিবরণ পাওয়া যায়। কিছু সমাধি পাওয়া গেছে পাহাড়ের চূঁড়ায়। আর মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের সমাধিস্থ করা হয়েছে পাহাড়ের নিচে।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানান, এ শহরে মানুষদের শ্রেণি অনুসারে সমাধিস্থ করা হয়েছে। অভিজাতদের পাহাড়ের চূড়ায় সমাধিস্থ করা হয়েছে এবং মধ্যবিত্তদের তাদের নিচে সমাধিস্থ করা হয়েছে। প্যাট্রিজিয়া পিয়াসেন্টিনি এক প্রত্নতাত্ত্বিক দাবি করেছেন, সমাধিস্থলটির অবস্থান প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার ফুট জায়গা জুড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।