জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ রাখতে একটি ঈদ মাঠে এক যুগ ধরে ১৪৪ ধারা জারি করে আসছে জেলা প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের দিনও উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ভোজদত্ত গ্রামের ঈদগাহ মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দীন হায়দার। এ বিষয়ে গত ১৯ এপ্রিল অফিস আদেশ দেন জেলা প্রশাসক।
ফলে এবার ঈদুল ফিতরের নামাজ ওই ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়নি।
স্থানীয়রা জানায়, ঈদগাহ মাঠের বয়স প্রায় ২০০ বছর। মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মূলত বিরোধ দুই গ্রামের মধ্যে। গ্রাম দু’টি হলো ঘাটাইল উপজেলার ভোজদত্ত ও পাশ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা।
ভোজদত্ত ঈদগাহ মাঠের আধিপত্য নিয়ে ঘাটাইল উপজেলার ভোজদত্তসহ আশেপাশের ৫টি গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী কালিহাতি উপজেলার বীরবাসিন্দা গ্রামের লোকদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয় ২০১২ সালে। বিরোধ নিরসনে ওই বছর ২১ নভেম্বর দুই উপজেলার তৎকালীন ইউএনওর উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বীরবাসিন্দা গ্রামের আ. গফুর নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন।
এ অবস্থায় যেকোনো সংঘর্ষ ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় ওই বছরের ২৬ নভেম্বর ঈদুল আজহার দিন জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ভোজদত্ত ঈদগাহ মাঠের আশেপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ঈদের সপ্তাহখানেক পর ১ ডিসেম্বর আহত গফুর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ওই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করেন গফুরের ছেলে মোস্তফা কামাল। মামলায় আসামি করা হয় ১৭ জনকে। পরবর্তীতে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন পাঠায় ১৩ জনের নামে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
ওই হত্যাকাণ্ডের পর দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে বিরোধ আরও বেড়ে যায় এবং উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় ১২ বছর ধরে প্রত্যেক ঈদেই ভোজদত্ত ঈদগাহ মাঠে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ১৪৪ ধারা জারি করে আসছে প্রশাসন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।