চীনা রকেটের নিয়ন্ত্রণহীন ধ্বংসাবশেষ আর কিছুক্ষণের মধ্যে আছড়ে পড়বে পৃথিবীতে। স্পেস ডেইলি নামে একটি ফেসবুক পেজে রকেটের ধ্বংসাবশেষের আছড়ে পড়ার লাইভ দেখাচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার (০৭ মে) সন্ধ্যায় এক টুইটবার্তায় মার্কিন এয়ারস্পেস করপোরেশন জানায়, রোববার জিএমটি ০৪.১৯ মিনিটের আট ঘণ্টা আগে বা আট ঘণ্টা পরে চীনের লংমার্চ ৫বি রকেটটির ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে।
সিওআরডিএসের অনুমানে পুনঃপ্রবেশের সম্ভাব্য অঞ্চল হিসেবে নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডের আশপাশের কথা বলা হয়েছে।-খবর রয়টার্সের
সঙ্গে এটাও বলা হয়, পৃথিবীতে প্রবেশপথের যে কোনো জায়গায় রকেটের ধ্বংসাবশেষটি আছড়ে পড়তে পারে।
গত মাসে চীনের নতুন মহাকাশ স্টেশনের প্রথম মডিউলটি নিয়ে কক্ষপথে রওনা দেয় লংমার্চ ৫বি নামে রকেটটি।
তিয়ানহে মডিউল চীনের নির্মাণাধীন স্থায়ী মহাকাশ স্টেশনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্টেশনটির তিন ক্রুর বসবাসের কোয়ার্টার এই মডিউলটিতে করেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের জন্য কক্ষপথে মোট ১১টি মিশন পরিচালনা করবে চীন। এর প্রথমটিতেই লংমার্চ ৫বি রকেটে করে তিয়ানহে মডিউল কক্ষপথে পাঠানো হয়।
বায়ুমণ্ডলে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ঘুরপাক খেতে থাকা গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বস্তু হলো ১৮ টন ওজনের এই ধ্বংসাবশেষ।
রকেটের নিয়ন্ত্রণহীন অংশ পৃথিবীতে আছড়ে পড়ায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি ‘একেবারেই কম’ বলে জানিয়েছে চীন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এটি কোনো জনবহুল এলাকায় এসেও পড়তে পারে।
ঝুঁকির বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, রকেটের নিয়ন্ত্রণহীন ধ্বংসাবশেষটিতে বিমান চলাচল কিংবা ভূমিতে ক্ষতির শঙ্কা নেই বললেই চলে।
তিনি বলেন, রকেটের অধিকাংশ উপাদান বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ধ্বংস হয়ে যাবে। জনগণকে সঠিক সময়ে এ নিয়ে অবগত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) ধ্বংসাবশেষটি নজরে রাখার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বর্তমানে এটিকে গুলি করে ভূপাতিত করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, আমরা আশাবাদী, এটি এমন কোথাও আছড়ে পড়বে, যেখানে কারো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। সম্ভবত সমুদ্র কিংবা এমন কোনো স্থানে এটি এসে পড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।