জুমবাংলা ডেস্ক : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সবজি ভান্ডার খ্যাত জনবহুল বৃহত্তর অঞ্চল বাংলাবাজার এলাকার সাথে উপজেলা সদর ও নরসিংপুর ইউনিয়ন হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে আশা মানুষজনদের যোগাযোগের প্রধান সড়ক বৃটিশ-বাংলাবাজার সড়কটি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সংস্কার না হওয়ায় বেহাল অবস্থায় পরিনত হয়ে পরে। অনুপযোগী হয়ে পরে জনবহুল এই অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা। চলাচলে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কাদা-পানি, খানাখন্দ আর দুর্ঘটনার হুমকি মাথায় নিয়েই প্রতিনিয়তো চলাচল করতে হতো এসব এলাকার মানুষজনদের। এতে উপজেলার সবজি ভান্ডার খ্যাত বাংলাবাজার এলাকায় ফলানো সবজি বাহিরের এলাকায় পাঠাতে অতিরিক্ত ভাড়া শুনতে হতো স্থানীয় কৃষক ও মহাজনদের। ফলে লাভের চেয়ে ক্ষতির দিকটাই বেশি ভাসতো এলাকার মানুষদের চোখে।
এলাকার এমন পরিস্থিতিতে নিজেও ক্ষতির মুখে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেন স্থানীয় ব্যবসায়ী বাংলাবাজারে অবস্থিত শিপা-রিপা গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী মোবারক হোসেন। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হন নিজেদের পরিবর্তন নিজেরাই করবেন। যেমন কথা তেমন কাজ। শুরু করেন এলাকার রাস্তা সংস্কার।
মোবারক হোসেনের নিজস্ব অর্থায়নে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিপন আহমেদ, আমির হোসেন, সাব্বির মাহমুদ, নাজমুল সৌরভ, সাঈদ, মাহমুদুল হাসান, সায়েম আহমদ, ফেরদাউস-সহ বেশ কয়েকজন। শিক্ষার্থীদের পাঁচ দিনের স্বেচ্ছাশ্রমে আজ মঙ্গলবার রাস্তার সংস্কারকাজ শেষ হয়।
গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বাংলাবাজার-ব্রিটিশ তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করেছেন তারা। এতে উপকৃত হয়েছেন আশপাশের কয়েকটি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।
এই রাস্তা দিয়ে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি কলেজ, দু’টি মাদরাসা এবং তিনটি বাজারে মানুষের নিয়মিত চলাচল করতে হয়। এলাকার মানুষজন রাস্তা সংস্কারে মানববন্ধন করে কয়েক দফা দাবি জানালেও জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকার। এতে দিনের পর দিন ভোগান্তি পোহাচ্ছিলেন এলাকার মানুষজন।
নিজ অর্থায়নে রাস্তা সংস্কারক মোবারক হোসেন জানান, ‘সরকারি অনুদান বা কারো অপেক্ষায় না থেকে ছাত্রদের নিয়ে নিজেরাই রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করি। আমরা একাধিকবার মানববন্ধনসহ স্থানীয় প্রতিনিধিদের শরণাপন্ন হয়েছিলাম তবুও সংস্কার হয়নি।’
আলাপকালে বাংলাবাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্যরা জানান, রাস্তাটির গর্ত ভরাট, পানি নিষ্কাশনের নালা তৈরি করা, কাদা সরিয়ে ভাঙ্গাচুরা ইট দিয়ে রাস্তার গর্ত ভরাটসহ বিভিন্ন কাজ করা হয়েছে ছাত্রদের দ্বারা।
এলাকাবাসী আরো জানান, শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংস্কার করেছে। তবে এটা সাময়িক উদ্যোগ।
রাস্তাটির স্থায়ী সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।