সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : আর্থিক লেনদেন সেবা বিকাশে প্রতারণার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (১৫ জুলাই) বিকেল পৌনে ৬টার দিকে মাগুরা জেলার শ্রীপুর বাজার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিবি।
জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরিশাট (শ্রীকোল) গ্রামের মৃত আ. আজিজ মোল্লার ছেলে মো. রাজু মোল্লা (৪১), একই গ্রামের আ. আজিজ শেখের ছেলে মো. মফিজুর রহমান (৪০), বাড়ইপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম আক্কাসের ছেলে খালিদ হাসান (মিঠু) (৪০) এবং বরিশাট (শ্রীকোল) গ্রামের মো. রশিদ মিয়ার ছেলে মো. তিতাস মিয়া (২৩)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৪ জুলাই) সঞ্চিতা মন্ডল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে বিকাশ প্রতারণার অভিযোগে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ক্যাশ আউটের সূত্র ধরে শনিবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর বাজার থেকে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে অাসামীরা জানিয়েছেন, ১নং আসামী রাজু মোল্লা বিকাশ প্রতারকদের টাকা বিভিন্ন বিকাশের দোকানের এজেন্ট নাম্বার হতে উত্তোলন করে ২ ও ৩নং আসামীর নিকট টাকা পাঠায়। ২নং আসামী মো. মফিজুর রহমান ১নং আসামীর পাঠানো টাকা তার বৈধ এজেন্ট নাম্বারে গ্রহণ করে। ৩নং আসামী খালিদ হাসান মিঠু জানায়, যখন কোন প্রতারকের টাকা ক্যাশ আউট করার প্রয়োজন হয় তখন সে ১নং আসামীর সাথে যোগাযোগ করে টাকা উত্তোলন করার ব্যবস্থা করে। ৪নং আসামী তিতাস মিয়া জানায়, সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মোবাইলে ফোন দিয়ে ভুলবশত টাকা চলে যাওয়ার বিকাশ দোকানদার, কোন ব্যক্তি বা বিকাশ এজেন্ট পরিচয় দিয়ে তাদের বিকাশে টাকা যাওয়ার মেসেজ পাঠায়।
গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার সংঘবদ্ধ বিকাশ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। আসামীদের এলাকায় বিকাশ প্রতারণার বিষয়টি টোপ নামে পরিচিত মর্মে জনশ্রুতি রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।