জুমবাংলা ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই পরিস্থিতিতেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে হাজারো পর্যটকের ভিড়।
শুক্রবার (১২ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা, কলাতলী পয়েন্টে দেখা গেছে অন্তত বিশ হাজার পর্যটক রয়েছেন। সংকেতের তোয়াক্কা না করে তারা নিজেদের মত করে ঘুরছেন।
তবে সুগন্ধা পয়েন্টে পর্যটকদের সমুদ্রে গোসল করতে দেখা গেলেও লাবনী পয়েন্টে সেই দৃশ্য দেখা যায়নি।
বিকেল তিনটার দিকে হঠাৎ একটু বৃষ্টি শুরু হলে তা স্থায়ী হয় দশ-পনেরো মিনিট। বৃষ্টি থামার পর পর আবারও পর্যটকে ভরে যায় সমুদ্র সৈকত। পর্যটকদের অনেকেই বলছেন ঘূর্ণিঝড় মোখা দেখার জন্য তারা সৈকতে নেমেছেন।
সৈকতে সংবাদ সংগ্রহে আসা সাংবাদিক মাঈন উদ্দিন হাসান সাহেদ বলেন, সৈকতে এসে বোঝার উপায় নেই, ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত চলছে। হাজারো পর্যটকে মুখরিত সমুদ্র সৈকত।
চট্টগ্রাম থেকে আসা পর্যটক বেলাল হোসেন বলেন, সুযোগ পেয়েছি, তাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসলাম, ভালোই লাগছে। ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে শুনছি, কিন্তু সৈকতের পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে।
কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান বলেন, ৪ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত চলছে। তবে এখনো লোকজনের মাঝে সচেতনতা আসেনি। তবে শনিবার থেকে সাগরের পানিতে কাউকে নামতে দেওয়া হবে না।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব উপজেলার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার উপকূলীয় এলাকার সব সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয়সহ ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নগদ ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ৪৯০ টন চাল, ৭ টন শুকনো খাবার, ১৯৪ বান্ডেল ঢেউটিন মজুত রাখা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।