জুমবাংলা ডেস্ক : মাত্র ৪শ’ টাকা। তাও আবার চার বছর আগের পাওনা। এ নিয়েই সংঘর্ষ। এতে নারী-পুরুষসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। রবিবার(১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন- জসিম মিয়া (৩২), আলকাছ মিয়া (৩৫), নয়ন মিয়া (১৮), কালু মিয়া (২৮), জীবন মিয়া (১৮), নাদিম (১৮), কিরন মিয়া (১৯), বাদল মিয়া (২২), মনসুর আলী (৩০), বিল্লাল মিয়া (৬০), পাভিয়া (৩০), ময়না বেগম (৩৫) ও শাহীন মিয়া (৩০)। এরমধ্যে জীবন মিয়ার দুই হাত ভেঙে যাওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মৈন্দ গ্রামের কাসেম মিয়ার ছেলে সুমনকে গত চার বছর আগে ৪০০ টাকা ধার দিয়েছিলেন একই এলাকার মনসুর। রবিবার রাত ৯টার দিকে মৈন্দ বাজারে শাহজাহান মিয়ার চা স্টলে সুমনকে পেয়ে পাওনা টাকা চান মনসুর। সুমন উত্তরে জানান পাওনা টাকা দিবেন না।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মনসুরকে মারধর শুরু করেন সুমন। তাৎক্ষণিক বাজারে বিষয়টি মুরুব্বিরা মীমাংসা করে দিলে তারা যার যার বাড়িতে চলে যান।
কিছুক্ষণ পর সুমনের বাড়ির লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে মনসুরের বাড়িতে হামলা করেন৷ এতে দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে জীবন মিয়ার দুই হাত ভেঙে যাওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।