জুমবাংলা ডেস্ক : কম শিক্ষার্থী নিয়ে পাশাপাশি থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো একীভূত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সারা দেশে এ ধরনের ৩০০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকাও করা হয়েছে। তালিকায় খুলনা জেলার ৪৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয় একীভূত করার জন্য এরই মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘খুলনা জেলায় ১ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টি বিদ্যালয়ে ৫০-এর কম শিক্ষার্থী আছে। পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় এর মধ্যে ৪৬টি বিদ্যালয়কে একীভূত করার সুপারিশ করা হয়েছে।’
তবে একীভূত করার পর কোনো বিদ্যালয় বন্ধ হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি থাকা দুটি বিদ্যালয়ে ভাগাভাগি করে পাঠদান করানো হবে। একটিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পাঠদান করা হবে। একইভাবে অন্যটিতে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর পাঠদান করা হবে।’
এভাবে শ্রেণিভিত্তিক পাঠদান ভাগাভাগি হলে আর শিক্ষার্থী সংকট হবে না। অর্থাৎ একটিতে কম শিক্ষার্থী বা অন্যটিতে বেশি শিক্ষার্থী এমন সমস্যা হবে না। একীভূত হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও বাড়বে। ফলে শিক্ষার মান আরো ভালো হবে।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয় বাস্তবতা ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যালয়গুলো একীভূত করা হচ্ছে। অল্প শিক্ষার্থী রয়েছে, তবে পাশাপাশি কোনো বিদ্যালয় নেই—এমন বিদ্যালয়গুলোও যথারীতি চালু থাকবে। সারা দেশে এ ধরনের ৩০০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়েছে। এটা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। নির্দেশনা এলে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।