সুহাইল আহমদ : তাওবা-ইস্তেগফার
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, যারা বেশি বেশি তাওবা-ইস্তেগফার করে; তাদের সামনে যত সংকটই (অভাব) থাকুক না কেন, মহান আল্লাহতায়ালা তা সমাধান করে দেন।’ (মুসতাদরেকে হাকেম)।
ইস্তেগফার-উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।’ অর্থ : ‘আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তার কাছেই (তাওবা করে) ফিরে আসি।’
আল্লাহর জন্য দান করা
আল্লাহ বলেন, ‘বলুন, নিশ্চয়ই আমার রব তাঁর বান্দার মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সংকুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিজিকদাতা।’ (সূরা সাবা : আয়াত ৩৯)।
এ থেকে বোঝা যায় যারা আল্লাহর রাস্তায় দান করে, আল্লাহতায়ালা তাদের সীমাহীন রিজিক দান করে থাকেন।
ওমরাহ করা
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ওমরাহ করে; ওমরাহ তার গোনাহ, তার অভাব অনেক দূরে পাঠিয়ে দেয়।’ (তিরমিজি)।
কাজের শুরুতে
বিসমিল্লাহ বলা
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন খাবার খায় আর যদি বিসমিল্লাহ বলে; তবে শয়তান ওই খাবারে অংশ নিতে পারে না। যেটুকু খাবার আছে তা (পরিমাণে কম হলেও) তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। অনুরূপভাবে কেউ যদি ঘরে প্রবেশ করার সময় বিসমিল্লাহ বলে তখনো শয়তান তার সঙ্গে বাসায় ঢুকতে পারে না। এভাবে বান্দা যখন সব কাজ বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে, তখন শয়তান সব কাজ থেকে মাহরুম হয়। আর আল্লাহতায়ালা সব কাজেই বরকত দান করেন।
সকালবেলা কাজ শুরু করা
সকালবেলার কাজে আল্লাহতায়ালা বরকত দান করেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) দোয়া করেছেন-‘হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে সকালবেলা বরকত দান করবেন।’ অন্য বর্ণনায় এসেছে-তিনি বলেছেন, আমার উম্মতের জন্য সকালবেলার সময়টাতে বরকত দেওয়া হয়েছে। এ কারণেই দিনের শুরুতে মহান আল্লাহর নাম নিয়ে কাজ শুরু করলে সফলতা পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।