সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের শিবালয় থানাধীন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীর কর্মচারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৮০ লাখ টাকা মূল্যের ৬০ ভরি স্বর্ণ লুটের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মো. নুর নবী (৪২) চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুরের গোলাম মোস্তফার ছেলে। আজ সোমবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে মানিকগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানাধীন গোবিন্দল জামটি বাজারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কর্মচারী উসমান গনী চুয়াডাঙ্গার একটি জুয়েলার্সের ৬০ ভরি স্বর্ণ পৌঁছে দিতে গত ১৮ অক্টোবর সকালে সিএনজি যোগে মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে অভিযুক্ত মো. নুর নবী মোবাইল ফোনে উসমানকে শিবালয়ের উথুলী বাসস্ট্যান্ডে নামতে বলেন। উসমান ও নুর নবী সেখান একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে। খাওয়া শেষে উসমান রিক্সা করে আরিচা ঘাটের দিকে রওয়ানা দেয়। এর কিছু সময় পর রিক্সাটি মহাসড়কের বোয়ালী বড় ব্রিজের কাছে পৌঁছলে মোটরসাইকেল যোগে আসা তিন ব্যক্তি তার পথরোধ করে। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে উসমানকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছে থাকা স্বর্ণ অবৈধ বলে দাবি করে। একপর্যায়ে ৬০ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে তারা আরিচার দিকে চম্পট দেয়।
কর্মচারী উসমান কাউকে কিছু না বলে মালিকের দোকানে ফিরে গিয়ে ঘটনাটি জানান। পরে শিবালয় থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করেন।
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত মো. নুর নবী ওরফে নুহুনবীকে গতকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করে।
তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর সুমন চক্রবর্তী জানান, লুটকৃত স্বর্ণ উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বিষয়টি নিয়ে শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এআরএম আল মামুন বলেন, ৬০ ভরি স্বর্ণ লুটের ঘটনায় একজনকে চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে চারটি স্বর্ণের বার বিক্রি করে দিয়েছে। আরেকজন নিয়েছে দুটি বার। সে পলাতক রয়েছে। স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশা করি খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো আমরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।