জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার পাখি পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন হুমায়ুন কবির। ২০১০ সালে ৫ হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে তাঁর খামারের শুরু করলেও বর্তমানে তার খামারে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার পাখি আছে। তাকে দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবকরা পাখি পালনে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, বাবা শিক্ষক আব্দুল কাদের মজনুর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে বাড়িতেই খামার বানিয়ে ২ জোড়া বাজরিগর ও কিছু ফিঞ্চ পাখি কেনেন। ধীরে ধীরে এটি বাণিজ্যিক খামারে পরিণত হয়। বর্তমানে তাঁর খামারে সহস্রাধিক বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে। শখের এই খামার থেকেই সব খরচ বাদে প্রতি মাসে আয় করছেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
হুমায়ুন কবির বলেন, আমার খামারে লাভবার্ড, বাজরিগর, ককাটেল, জাভা, বিদেশি ঘুঘু, ফিঞ্চ, ডায়মন্ড, কবুতরসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১ হাজার পাখি রয়েছে। এসব পাখির বাজারমূল্য ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা দামের পাখি আছে আমার খামারে।
তিনি আরও বলেন, খামারে প্রতি মাসে পাখির জন্য ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার খাবার কিনতে হয়। আর পাখি বিক্রি করে থাকেন ১ লাখ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার। সব খরচ বাদে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রায়হান বলেন, এই উপজেলায় শৌখিন পাখির খামার গড়ায় অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বেকার তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও খামার গড়ে তুলেছেন। এটি একটি লাভজনক সেক্টর। তাই তাঁর দপ্তর থেকে এসব পাখি পালনে উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে খামারের পাখি অসুস্থ হলে চিকিৎসার ওষুধও বিনা মূল্যে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।