জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে তিনদিনের এক নবজাতক চুরি হয়। তারপর পুলিশের হাতে আটক হন নবজাতক চুরি করা নারী। এরপর রাতে নিজেই জন্ম দিলেন ফুটফুটে এক কন্যাসন্তান। এমন ঘটনায় শহরজুড়ে আলোচনা চলছে।
শিশু চুরির ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক তানিয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের সিন্দুরা গ্রামের নিয়াজ আহাম্মদ লিটনের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির ঘটনায় তিনি আটক হয়ে থানায় ছিলেন। থানায় আটক থাকাকালীন রাতে প্রসবের লক্ষণ দেখা দিলে পুলিশ দ্রুত তাকে জেনারেল হাসপাতালে যায়। সেখানে রাত ১১টায় সিজারিয়ান অপারেশনে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন।
পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রেখা আক্তার (২৭) গত তিনদিন আগে জেলা সদর হাসপাতালে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তানিয়া হাসপাতালে গাইনি ওয়ার্ডে এসে নিজেকে দানশীল ব্যক্তি পরিচয় দেন। এ সময় রেখার পাশে থাকা তার দাদিকে ওই নারী ৫০০ টাকা দিয়ে ফল আনতে বলেন। তিনি নবজাতক শিশুটিকে ডাক্তার দেখাতে হবে বলে কোলে নেন। এরপর রেখার ১১ বছরের এক বোন ও নবজাতককে সাথে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান।
হাসপাতাল থেকে বের হয়ে তানিয়া স্বর্ণের একটি আংটি ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে রেখার বোনের কাছে দেন। সেখান থেকে প্রথমে কুমারশীল মোড় আমিন কমপ্লেক্সে এক শিশু চিকিৎসকের চেম্বারে যান। কিন্তু সিরিয়াল না পেয়ে আমার সন্ধানী হাসপাতালে আরেক শিশু চিকিৎসকের চেম্বারের যায়। ওই হাসপাতালে রেখার বোনকে টয়লেটে পাঠিয়ে নবজাতককে নিয়ে পালিয়ে যান তানিয়া।
খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় শিশুটিকে উদ্ধার করতে অভিযান চালায়। পরবর্তীতে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে সদর উপজেলার সিন্দুরা গ্রাম থেকে শিশুসহ তানিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রাতে সন্তান প্রসবের লক্ষণ দেখা দিলে পুলিশ জানতে পারে তানিয়া গর্ভবতী। পরে দ্রুত নারী পুলিশের মাধ্যমে জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগে পাঠানো হলে সিজারিয়ানের মাধ্যমে তার কন্যাসন্তান জন্ম হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলাম বলেন, নবজাতক চুরির ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তানিয়া নামের এক নারীকে আটক করেছে। আটকের পর জানা যায় সে নিজেও প্রসূতি। রাতে সন্তান প্রসবের লক্ষণ দেখা দিলে নারী পুলিশ দিয়ে হাসপাতালে পাঠাই। সেখানে সিজারের মাধ্যমে একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। মা ও সন্তান সুস্থ আছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।