জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীর আবাসিক হোটেল থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আবাসিক ওই হোটেলের নাম ড্রিম হ্যাভেন। রোববার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার ওই আবাসিক হোটেলের ৪০৩ নম্বর কক্ষে মরদেহটি পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত জয়নব বেগম (৪১) নাটোর সদর থানার নারায়ণপুর গ্রামের তসির প্রামাণিকের মেয়ে। রোববার সকাল ১০টার দিকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে জয়নব ও এক ছেলে ওই আবাসিক হোটেলে ওঠেন।
তবে হোটেলের রেজিস্টারে নিহত নারীর নাম জুলেখা (২৩) এবং ছেলের নাম মিজান (২৭) লেখা রয়েছে। এছাড়াও দুজনের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উল্লেখ করা হয়। তবে নিহত নারীর ব্যাগে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি পাওয়া গেছে। সেখান থেকে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ড্রিম হ্যাভেন হোটেলের একটি রুমে নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে– এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১১টার দিকে ওই আবাসিক হোটেলে যায় পুলিশ। এরপর তালা ভেঙ্গে ওই কক্ষে প্রবেশ করে। পরে সিআইডি সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর পুলিশ ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ওই নারীর মরদেহ কক্ষের ভেতরে খাটের উপর পড়ে ছিল। তবে পায়ের কিছু অংশ ঝুলে ছিল খাটের নিচে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে স্বামী পরিচয় দিয়ে ওই নারীর সঙ্গে থাকা মিজান রোববার দুপুর দেড়টার দিকে ৪০৩ নম্বর কক্ষের দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যান। রাতে মিজান না ফেরায় হোটেল কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। এরপর তারা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশের ধারণা ওই আবাসিক হোটেলে জয়নব বেগমকে ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মিজান। তাদের দুজনের বাড়ি গোদাগাড়ী উল্লেখ রয়েছে। হোটেলের খাতায় তারা ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করেছে। কিন্তু পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই নারীর বাড়ি নাটোর। মিজান নাম ব্যবহারকারী ওই ছেলেকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।