জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে দলবল নিয়ে সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার (৫ মার্চ) ভোরে গহিরা-হেঁয়াকো সড়কের নারায়ণহাট নন্দীর স্কুল সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মো. একরামুল হক উপজেলার ভুজপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। আসামি ছিনতাইয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, গভীর রাতে ঘুমে ছিলাম। চোরাই গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানি না। সকালে লোকমুখে শুনেছি গাছ কাটা বন্ধ করতে গিয়ে কিছু নেতাকর্মী রোশের শিকার হয়েছেন। দলের কেউ অপরাধে জড়িত নয় বলে তাদের ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের নারায়ণহাট রেঞ্জের আওতাধীন দাঁতমারা বনবিটের বড়ইতলী প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে রাতের আঁধারে পারমিট করা বাগানের গাছ কাটার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ছয় জনকে আটক করে পুলিশে দেয়। এসময় আটকদের কাছে থাকা ৯টি মোটরসাইকেল এবং কেটে ফেলা বিভিন্ন প্রজাতির ১৫টি গাছ জব্দ করা হয়।
আটকরা হলেন– মো. জাহেদ (২৫), মো. বোরহান (২৬), আকিব উদ্দিন (২৭), কুদ্দুস মিয়া (৩৫), আশিক (২৫) ও মনা মিয়া (২৯)। তারা যুবদল নেতা মো. একরামুল হকের অনুসারী এবং স্থানীয় বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবু তাহের বলেন, যুবদল নেতা একরামের নেতৃত্বে কিছু যুবক রাতে সেখানে গাছ কেটে নেওয়ার জন্য জড়ো হয়। রাত গভীর হলে সাঙ্গপাঙ্গদের দল ভারী হতে থাকে। প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারা ঘুমে আচ্ছন্ন হলে সেহরির সময় তারা এসব গাছ কেটে সাবাড় করে। খবর পেয়ে লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে দেয়। পরে পুলিশ তাদের থানায় নেওয়ার পথে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি গতিরোধ করে গাড়ি ও তাদের চিনিয়ে নেয়।
দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আজম চৌধুরী বলেন, দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ চরম অন্যায়। এ ধরনের কাজ দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। যদি বিষয়টির সঙ্গে দলের কেউ জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।
দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শরিফুল ইসলাম বলেন, আটকদের নিয়ে নেপচুন চা বাগান হয়ে থানার দিকে যাচ্ছিলাম। এমন সময় বিএনপি নেতা একরামুল হক ও ছাত্রদল নেতা ইয়াকুব চৌধুরীর নেতৃত্ব শতাধিক লোক স্লুইসগেট এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে আটকদের ছিনিয়ে নেন।
ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হক বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।