আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এই পৃথিবীতে অনেক রহস্যময় হ্রদ রয়েছে, যেগুলির কাছে গেলে আবার মৃত্যুরও আশঙ্কা থাকে। এর রহস্য আজ পর্যন্ত উন্মোচিত হয়নি। এই প্রতিবেদনে এমন একটি হ্রদের কথা বলা হয়েছে যা খুবই বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। রহস্যময় হ্রদটি দক্ষিণ আফ্রিকার লিম্পোপো প্রদেশে রয়েছে। ভুলবশত কেউ যদি ফুন্দুজি নামের এই হ্রদে চলে যায়, তবে তার মৃত্যু নিশ্চিত।
ফুন্দুজি হ্রদের নাম শুনে বিজ্ঞানীরাও আতঙ্কিত। মুতলে নদীর জল এই বিপজ্জনক হ্রদে পড়ে। কথিত আছে, এই নদীর জল একেবারে পরিষ্কার, কিন্তু হ্রদে প্রবেশ করতেই বিষাক্ত হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা এই হ্রদের রহস্য জানার অনেক চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হয়েছেন।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অনেক বিজ্ঞানী এই বিপজ্জনক হ্রদের জল অনুসন্ধান করতে এসেছিলেন, কিন্তু তাদের সাথে কিছু দুর্ঘটনা ঘটে। যতবারই এমনটা হয়েছে, বিজ্ঞানীরাও আতঙ্কে ছিলেন এবং তারাও এই হ্রদের কাছে যেতেও ভয় পান।
কথিত আছে যে, ১৯৪৬ সালে অ্যান্ডি লেভিন নামে এক গবেষক এই হ্রদের জল অনুসন্ধান করার সাহস করেছিলেন। এখানে তিনি একজন সঙ্গীকে নিয়ে গিয়ে জল পরীক্ষা করেন। জলের স্বাদ অদ্ভুত দেখে তিনি বোতলে নিয়ে গাছপালার পরীক্ষা করার জন্য নিয়ে যান।
যখন তারা সেখান থেকে যেতে শুরু করেন, তারা বারবার ঘুরে সেই হ্রদের কাছেই পৌঁছে যান, কারণ সেখান থেকে যাওয়ার কোনো পথ খুঁজে পাননি। এরপর তারা হ্রদের জল ছুঁড়ে দিয়ে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছান। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো এর কয়েকদিন পর তিনি মারা যান। তার সঙ্গীও দুর্ঘটনায় মারা যায়। এটি ছিল ওই হ্রদের সাথে জড়িত ১৩তম দুর্ঘটনা।
এই হ্রদকে ঘিরে অনেক কাহিনী আছে। কথিত আছে যে বহুকাল আগে একজন কুষ্ঠরোগীকে এখানকার বাসিন্দারা জায়গা দিতে অস্বীকার করেছিল। এরপর কুষ্ঠরোগী রাগান্বিত হয়ে সকলকে অভিশাপ দিয়ে হ্রদে চলে যান। এরপর তাকে আর দেখা যায়নি। স্থানীয়রা বলেন, কখনো কখনো হ্রদ থেকে অদ্ভুত ও বিকট শব্দ শুনতে পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।