আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, মারস্ক হ্যাংজু কনটেইনার জাহাজটিতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে লোহিত সাগর পাহারায় টাস্কফোর্স গঠনের পর এটিই প্রথম হামলা।
একই দিন লোহিত সাগরে মার্কিন একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। সেখানে তারা এখন পর্যন্ত দুই ডজনের বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে।
সেন্টকমের তথ্যানুযায়ী, জাহাজটিতে হামলার ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তা ছাড়া এটি এখনো সচল রয়েছে।
হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধের ঢেউ গিয়ে পৌঁছেছে লোহিত সাগরে। গাজায় বোমা হামলা শুরুর পর পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে লোহিত সাগরে। কারণ বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি সেখানে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটিকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন জানাতেই সেখানে হামলা শুরুর ঘোষণা দেয় হুথি।
তাদের দাবি, গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিতে হবে।
ইসরাইলগামী যে কোনো জাহাজে হামলার ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯ নভেম্বর ইসরাইলের মালিকানাধীন একটি জাহাজে হামলা চালায় হুথি বিদ্রোহীরা। এর পর ১২ ডিসেম্বর ইয়েমেনের হুথিনিয়ন্ত্রিত একটি এলাকা থেকে একটি নরোয়েজিয়ান ট্যাঙ্কারে হামলা চালানো হয়।
যদিও এর মালিকরা জানিয়েছেন জাহাজটি ইসরাইলগামী ছিল না। লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করা হয়েছে ফ্রান্সের যুদ্ধজাহাজকেও। এর পর একে একে বেশ কিছু জাহাজে হামলা চালানো হয়। এতে লোহিত সাগর কার্যত অচল হয়ে পড়ে। তবে এই সংকট দূর করার জন্য কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু অঞ্চলটিতে উত্তেজনা কোনোভাবেই থামছে না। ফের হামলা হলো বাণিজ্যিক জাহাজে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।