লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিয়ে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নতুন জীবনের শুরু যেন হয় সুস্থতা ও সচেতনতার মাধ্যমে—সেই ভাবনা থেকেই বিয়ের আগে কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। শুধু শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করাই নয়, বরং একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীলতারও প্রমাণ এই পরীক্ষাগুলো।
চলুন জেনে নেই, বিয়ের আগে কোন কোন শারীরিক পরীক্ষা করাটা একদমই ভুলে গেলে চলবে না:
১. রক্তের গ্রুপ ও Rh ফ্যাক্টর
আপনার এবং আপনার সঙ্গীর রক্তের গ্রুপ ও Rh ফ্যাক্টর জানা খুবই জরুরি। ভবিষ্যতের সন্তান জন্মের সময় জটিলতা এড়াতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২. থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং
থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। দুই জনই যদি বাহক হন, তবে সন্তানের মধ্যে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। আগে থেকেই পরীক্ষা করে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
৩. যৌনবাহিত রোগের (STD) পরীক্ষা
HIV, হেপাটাইটিস বি ও সি, সিফিলিসসহ অন্যান্য যৌনবাহিত রোগ অনেক সময় লক্ষণ ছাড়া থাকে। তাই ভবিষ্যতের নিরাপদ ও সুস্থ সম্পর্কের জন্য এই পরীক্ষাগুলো করা আবশ্যক।
৪. ডায়াবেটিস ও হরমোন টেস্ট
পরিবার পরিকল্পনার আগে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড কিংবা হরমোন সংক্রান্ত সমস্যা আছে কি না তা জেনে নেয়া ভালো। নারীদের ক্ষেত্রে PCOS বা অন্যান্য হরমোনজনিত সমস্যাও বিবেচনায় রাখা উচিত।
৫. ফার্টিলিটি বা প্রজনন ক্ষমতা পরীক্ষা
যারা বিয়ের পরপরই সন্তান নিতে চান, তাদের জন্য এই পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট এবং নারীর ওভারিয়ান রিজার্ভ মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
৬. জেনেটিক ডিসঅর্ডার স্ক্রিনিং
পরিবারে যদি বংশগত কোনো রোগের ইতিহাস থাকে, তবে সে অনুযায়ী জেনেটিক স্ক্রিনিং করিয়ে নেয়া উচিত।
৭. মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন
শুধু শারীরিক নয়, মানসিক সুস্থতাও একে অপরের সুখী দাম্পত্য জীবনের অন্যতম চাবিকাঠি। প্রয়োজন হলে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়াও দোষের কিছু নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।