বরিশালে মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে একদিনের বিয়ের পর নববধূকে তালাক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নারী তানিয়া খানম বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সাইফুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার নয়াখালী চড়াইল গ্রামের মো. সুলতান আহমেদ মোল্লার ছেলে সাইফুল বরিশাল জেলা পুলিশের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি বিবাহিত ও এক পুত্র সন্তানের জনক। কর্মস্থলে পরিচয় হয় ঝালকাঠী সদরের ছত্রকান্দা গ্রামের তানিয়া খানমের সঙ্গে।
তথ্য অনুযায়ী, সাইফুল ২০২৪ সালের ১৪ মে পারিবারিকভাবে ১ লাখ টাকা দেনমোহরে তানিয়াকে বিয়ে করেন। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন তার প্রথম পক্ষের ছেলে ইকবাল মাহমুদ সাব্বির। তবে মাত্র একদিনের মধ্যে সাইফুল নববধূকে খোলা তালাক দেন। তানিয়া কারণ জানতে চাইলে সাইফুলের প্রথম পক্ষের ছেলে সাব্বিরকে উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয়। প্রাণের ভয়ে তানিয়া ঝালকাঠীর নিজের বাবার বাসায় চলে যান।
তানিয়ার অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইফুল সম্পর্ক রাখলেও হঠাৎ ২৬ মে ২০২৪ তারিখে তালাকের কাগজ পাঠানো হয়। এই ঘটনায় তিনি ২০২৪ সালের ১ জুন বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রেজওয়ান বলেন, অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।
তানিয়া আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান বা রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। বরং মিথ্যা চুরির অভিযোগে ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে তাকে। তিনি সুষ্ঠু বিচার ও সমাধানের জন্য পুনরায় বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এবং পুলিশ সদর দপ্তরে আবেদন করবেন।
অভিযোগের বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাইফুল বলেন, তানিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে, কিন্তু প্রথম পক্ষের ছেলে ও পরিবারের অনুরোধে বাধ্য হয়ে তাকে তালাক দিতে হয়েছে। তদন্ত চলছে, তাই বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।
তানিয়া দাবি করেন, সাইফুল কেন বিয়ে করার একদিন পরই তালাক দিলো, তা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।