জুমবাংলা ডেস্ক : গত ৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে আনা মদের ১টি চালান জব্দ করে কাস্টমস। যা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য। কেননা নথিতে নাম থাকা আমদানিকারক এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের দাবি, এ বিষয়ে তারা সম্পৃক্ত নয়। রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে তথ্য মিলেছে, এটি একটি জালিয়াত চক্রের কাজ।
তথ্য বলছে, ফেব্রিক্স ঘোষণায় চীন থেকে চালানটি চট্টগ্রামে আসে গত বছরের ডিসেম্বরে। বন্দর থেকে ছাড় করার সব অপচেষ্টাও চালায় দুষ্টচক্র। তবে শিপিং লাইন থেকে নথি জমা দেয়া ব্যক্তিকে ফোনে না পেয়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হাফেজ ট্রেডিংকে জানালে বেরিয়ে আসে রহস্য। আটকে যায় খালাস প্রক্রিয়া।
সিঅ্যান্ডএফ হাফেজ ট্রেডিং(প্রাঃ) লিমিটেডের চেয়ারম্যান খালেদ হোসেন মামুন জানান, দীর্ঘদিন তার হাতে কোন কাজ নেই। এ সুযোগে হ্যাক করা হয় তার আইডি ও পাসওয়ার্ড। যাতে জড়িত থাকতে পারে আগে কাজ করা ব্যক্তিরা। আবার নথিপত্র প্রক্রিয়াকালে কোন ওটিপিও পাননি তিনি। এসব বিষয় কাস্টমসকে অবহিত করা হয় ১০ মাস আগেই। এতোদিন বন্দরেই পড়েছিল কন্টেইনারটি।
চট্টগ্রাম কাস্টমের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করার জন্য কাস্টমস থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক লিয়াকত আলী হাওলাদার জানান, এ বিষয়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টে থেকে চিঠি দেয়ার পরও কেন বিষয়টি এতদিন গড়াল তা ভাবার বিষয়। এছাড়া, ওটিপি ছাড়াও যে ডকুমেন্ট করা যায়, এ বিষয়টিও এনবিআর’কে যাচাই করতে হবে।
জানা যায়, এক্ষেত্রে নাম আসা আমদানিকারক সুপ্রিম স্মার্টওয়্যার নারায়নগঞ্জ ইপিজেডের ১টি প্রতিষ্ঠান। ইপিজেডের প্রতিষ্ঠানের পণ্য আমদানিতে মানতে হয় বিশেষ কিছু নিয়মও। তথ্য বলছে, সুপ্রিম স্মার্টওয়্যার প্রায় আড়াই বছর ধরে বন্ধ। তাদের আইডি-পাসওয়ার্ডেরও অপব্যবহার হয়ে থাকতে পরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।