জুমবাংলা ডেস্ক : শেরপুরে হাইব্রিড ‘আপন’ জাতের ধান আবাদ পরিদর্শন করেছেন ধানটির উদ্ভাবকসহ চীনা বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার বিকালে নকলা উপজেলার চরমধুয়া এলাকায় কৃষক হুমায়ুন মিয়ার ১৭ কাঠা (৮৫ শতাংশ) জমিতে বোরো মৌসুমে আবাদকৃত নতুন জাতের এ ধানের ফলন ও সার্বিক বিষয়াদি পর্যবেক্ষণ করেন।
পরিদর্শন দলে ছিলেন জাত উদ্ভাবক চীনের সাউথওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষক অধ্যাপক হু, বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান চীনের এয়ার ফার্মার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মিস সালামো, বিক্রয় ব্যবস্থাপক মিস জেসমিন।
এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন এসিআই সিড লিমিটেডের ব্যবসা পরিচালক সুধীর চন্দ্র নাথ, বিক্রয় ব্যবস্থাপক মনোসিজ কুমার মন্ডল, প্রোডাক্ট ম্যানেজার মো. হুমায়ুন রফিক, কর্মকর্তা অলোক চন্দ্র শীল প্রমুখ।
পরিদর্শনকালে চীনা বিশেষজ্ঞরা আবাদ করা ধান ক্ষেতে নেমে বিভিন্ন অংশ থেকে ধানের গোছা এবং শীষ সংগ্রহ করে সেগুলোতে ধানের সংখ্যা গণনা এবং এর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। পরে তারা স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং মাঠ দিবসে বক্তব্য রাখেন।
এসিআই সিড লিমিটেডের ব্যবসা পরিচালক সুধীর চন্দ্র নাথ জানান, এসিআই ফরমুলেশন হাইব্রিড ধান-১৯, যার বাণিজ্যিক নাম হলো ‘আপন’। বোরো মৌসুমে আবাদযোগ্য এ ধানটি চিকন এবং গড় ফলন হেক্টরে প্রায় সাড়ে ৯ টন। অর্থাৎ শতাংশ প্রতি প্রায় এক মণ করে। তা ছাড়া এ ধানটি পাতা রোগপ্রতিরোধী ও প্রবল বাতাসেও ধান ঝরে পড়ে না। এর ভাতও বেশ ঝরঝরে ও পুষ্টিমান সমৃদ্ধ। দেশের সব এলাকায় এ ধানটি আবাদযোগ্য হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে বেশ সাড়া পড়েছে।
তিনি জানান, চীন থেকে আমদানি করা জাতটি কৃষি বিভাগের অনুমোদন পাওয়ায় এসিআই সিড কোম্পানি আগামী বছর থেকে এটি বাজারজাত করবে। এ জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে। তাই চীনের কৃষি বিশেষজ্ঞরা সরেজমিন এটির আবাদ পরিদর্শনে এসেছেন।
পরিদর্শন টিমের প্রধান জাত উদ্ভাবক চীনা গবেষক অধ্যাপক হু বলেন, বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এখানকার মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। তা ছাড়া খাদ্য চাহিদা থাকায় অল্প জমিতে অধিক ফলন উৎপাদন করতে হবে, একই সঙ্গে পুষ্টিমানও নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য এখানে হাইব্রিড ধান-১৯ (আপন জাতের ধান) হতে পারে একটি আদর্শ জাতের ধান। এটি বিএলবি ও পোকামাকড় প্রতিরোধী। এর গড় ফলনও অনেক ভালো। এর ধানগাছও অনেক শক্তিশালী হয়ে থাকে। এ ধানের আবাদ বৃদ্ধি করা গেলে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।
মাঠ দিবসে বীজ ডিলার মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে শতাধিক কৃষক-কৃষানি ও বীজ ব্যবসায়ীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কৃষকরা জানান, হাইব্রিড ধান-১৯, যা আপন নামে পরিচিত ধানটির ফলন এবার বেশ ভালো হয়েছে। সামনের দিনে এ ‘আপন’ ধান কৃষকদের অতি আপন হয়ে ওঠবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।