জুমবাংলা ডেস্ক : মৌলভীবাজারে রাজনগরে বাজার দখলকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মধুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসলাম ছানা (৪৮) পাঁচগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউপির চেয়ারম্যান।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রক্তা গ্রামের পিন্টু সুলতান ও কেওলা গ্রামের দেওয়ান মিয়ার মধ্যে মধুর বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। বিষয়টি উভয় গ্রামের লোকজন জানলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছিল।
পরে রক্তা গ্রামের বিএনপি নেতা পিন্টু সুলতানার নেতৃত্বে ও কেওলা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান মিয়ার নেতৃত্বে মধুর বাজারে উভয় পক্ষের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এরমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান গুলি বৃদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাকে সিলেট নেয়ার পথে দুপুর ২টায় তিনি মারা যান। অন্য আহতরা মৌলভীবাজার ও সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রক্তা গ্রামের পিন্টু সুলতান বলেন, সকাল ১০টার দিকে আমাদের গ্রামের সাইদুল ইসলাম নামের এক কিশোরকে দৌড়িয়ে নিয়ে যায় কেওলা গ্রামের দেওয়ান মিয়ার লোকেরা। একপর্যায়ে উভয় গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দেওয়ান পক্ষের লোকেরা গুলি ছুড়ে এবং আমাদের গ্রামের ১৫টা দোকান লুট করে নিয়ে যায়।
নিহত ইউপি চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই কেওলা গ্রামের দেওয়ান মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পিন্টু সুলতানের লোকেরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম ছানাকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মৌলভীবাজার ও রাজনগরের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সেনাবাহিনী মৌলভীবাজার ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার হেলাল উদ্দিন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুপ্রভাত চাকমা বলেন, শুনেছি দুইপক্ষের সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মারা গেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।