আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্রোয়েশিয়ার শ্রমবাজারে চলমান ঘাটতি পূরণে বিদেশি কর্মীদের ওপর আরো বেশি নির্ভর করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডাভোর বোজিনোভিচ। এ লক্ষ্যে অভিবাসী শ্রমিকদের সংখ্যা বাড়ানো, বিদেশি কর্মীদের জন্য আইন শিথিল করা ও অধিকারের সুযোগ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটি।
ইউরোপের পর্যটন নির্ভর দেশ ক্রোয়েশিয়ার বিভিন্ন খাতে বর্তমানে তীব্র শ্রমিক সংকট চলছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রোয়েশিয়ার পর্যটন, নির্মাণ এবং সেবাখাত অনেক ক্ষেত্রেই বিদেশিদের অবদান এবং কাজের উপর নির্ভরশীল। তারা আমাদের সবার মতো একই নিরাপত্তা এবং মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য।’
সম্প্রতি দেশটির স্প্লিট শহরে কর্মরত চার বিদেশি কর্মী হামলার শিকার হওয়ার পরে ডাভোর বোজিনোভিচ এমন মন্তব্য করেছেন।
বিদেশি শ্রমিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনা মর্মান্তিক ও উদ্বেগজনক। বিদেশি শ্রমিকদের প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
মন্ত্রী বলেন, ক্রোয়েশিয়ান নাগরিকদের অভিবাসীদের জন্য এমন একটি সমাজের উদাহরণ তৈরি করা উচিত, যেখানে প্রতিটি ব্যক্তি ভয় ছাড়াই বাঁচেন এবং কাজ করতে পারেন। যারা হুমকির মুখে রয়েছেন, তাদের সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখবে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি ক্রোয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বিদেশি কর্মীদের জন্য আইন শিথিল করা ও অধিকারের সুযোগ তৈরিতে কাজ করছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বিদেশি কর্মীদের স্বার্থে কাজ করছে, যাতে তাদের কাজের চুক্তি বাতিল করা হলেও ৬০ দিনের সময়সীমার সুবিধা পান। এই সময়ের মধ্যে বিদেশি কর্মীরা ক্রোয়েশিয়ায় একটি নতুন চাকরি খুঁজে পেতে সক্ষম হবেন।
এই ব্যবস্থাটি বিদেশি কর্মীদের প্রতি নিয়োগকর্তাদের অন্যায় আচরণ ঠেকাতে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অভিবাসীরা বেকার থাকলেও দেশ ছাড়ার বিষয়ে চিন্তা না করে চাকরি খুঁজতে পারবেন।
এছাড়া দেশটিতে আসা বিদেশি শ্রমিকদের প্রথম রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ এক বছর থেকে তিন বছর পর্যন্ত বাড়াতে চায় সরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।