ধর্ম ডেস্ক : কানাঘুষা-কানাকানি শিষ্টাচারপরিপন্থী ও ইসলামবিরোধী আচরণ। কোথাও তিনজন লোক থাকলে একজনকে বাদ দিয়ে দুজনে কানাকানি করা ইসলামে নিষিদ্ধ। কেননা এতে তৃতীয় ব্যক্তি মনে কষ্ট পায়। ফলে পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট হয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি কি তাদের দেখো না, যাদের কানাঘুষা করতে নিষেধ করা হয়েছিল। অতঃপর তারা সেই নিষিদ্ধ কাজেরই পুনরাবৃত্তি করে।’ (সুরা মুজাদালাহ: ৮)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা যখন গোপন পরামর্শ করো, তখন পাপাচার সীমা লঙ্ঘন ও রাসুলের অবাধ্যতার বিষয়ে শলাপরামর্শ করো না; বরং তোমরা কল্যাণকর কাজে ও আল্লাহভীরুতার কাজে পরামর্শ করো। আর আল্লাহকে ভয় করো, যার কাছেই তোমরা সমবেত হবে। গোপন পরামর্শ তো কেবল শয়তানের প্ররোচনায় হয় মুমিনদেরকে দুঃখ দেওয়ার জন্য। তবে আল্লাহর অনুমতি ছাড়া শয়তান তাদের সামান্যতম ক্ষতি সাধনেও সক্ষম নয়। অতএব আল্লাহর ওপরই মুমিনরা যেন নির্ভর করে।’ (সুরা মুজাদালাহ: ৯-১০)
ইসলামের দৃষ্টিতে এমনভাবে কথা বলাও নিষিদ্ধ, যেভাবে কথা বললে কারো মনে সন্দেহ কিংবা দুঃখবোধ তৈরি হয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা তিনজন থাকবে, তখন দুজনে পৃথকভাবে গোপন পরামর্শ করো না। যতক্ষণ না তোমরা অন্যদের সঙ্গে মিশে যাও। কেননা এটি তৃতীয়জনকে দুঃখিত করবে।’ (বুখারি: ৬২৯০; মুসলিম: ২১৮৪)
তবে তৃতীয় ব্যক্তির অনুমতি সাপেক্ষে কথা বলা যাবে। যেমন অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যখন তোমরা তিনজন থাকবে, তখন তৃতীয়জনকে ছেড়ে তোমরা গোপনে পরামর্শ করো না তার ছাড়া। কেননা সেটি তাকে দুঃখিত করবে।’ (মুসনাদ আহমদ: ৬৩৩৮)
‘সন্তানকে সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি থেকে বিরত রাখতে জরুরি পারিবারিক বন্ধন’
হাদিসে তিনজনের কথা বলা হলেও চারজন পাঁচজন বা একাধিক লোকের মধ্যেও কোনো একজনকে রেখে এভাবে কথা বলা ঠিক নয় যাতে করে তিনি কষ্ট পান। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরআন-হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।