লাইফস্টাইল ডেস্ক : গ্রীষ্মের মৌসুমের জন্য সারা বছরের অপেক্ষা সার্থক মনে হয় বাজারে সুস্বাদু আর রসালো ফলগুলোর আগমনের পর। আর এই সময়ে সুমিষ্ট স্বাদের আম খেতে পছন্দ করেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
স্বাদের পাশাপাশি বিভিন্ন পুষ্টিগুনেও ভরা থাকে আম। কিন্তু এরপর ও অনেকে আম খাওয়া এড়িয়ে চলেন। তারা মনে করেন প্রতিদিন আম খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এই ধারণাগুলো কি সঠিক?
আম কি ওজন বাড়ায়?
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম আমে ৭৯ থেকে ৮২ গ্রাম ক্যালরি পাওয়া যায়। এছাড়া, একটি আমের ৭৫ থেকে ৮৫ শতাংশ পানি থাকে। তবে মজার বিষয় হলো, আমে কোনও ‘কোলেস্টেরল’ থাকে না। এমনকি এতে ক্ষতিকর লবণও নেই।
আর তাই পরিমিত পরিমাণে আম খেলে ওজন বাড়ে না। বরং আমে থাকা পলিফেনল নামক ফাইটোকেমিক্যাল শরীরে ফ্যাট জমার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে। পরিমিত আম খেলে ওজন না বাড়ার আরেকটি প্রধান কারণ হচ্ছে এতে থাকা খাদ্যআঁশ। এই খাদ্যআঁশের কারণে আম দ্রুত হজম ও শোষণও হয়ে যায়।
আম কখন ওজন বাড়ায়?
সাধারণত পরিমিত পরিমাণে আম খেলে সমস্যা না হলেও অতিরিক্ত আম খেলে ওজন বৃদ্ধির অনেক শঙ্কা থাকে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, আমে কোলেস্টেরল কম থাকলেও আমের ক্যালরি এবং শর্করা তুলনামূলক বেশি। তাই কেউ সারাদিনে চাহিদার বেশি আম খেলে শর্করা শরীরে গিয়ে ফ্যাট হিসেবে জমতে পারে। যার কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
আবার আমে যেহেতু ক্যালরি অনেক, তাই বেশি আম খেলে ওজন বেড়ে যাবে। সুতরাং যার ওজন বেশি, তার আরও কম আম খাওয়া উচিৎ।
যেভাবে খাবেন আম?
প্রতিদিন একজন সুস্থ মানুষ এমনিতেই দুটো আম খেতে পারবেন। তবে চাইলে আমদের সাথে অনেক কিছু মিশিয়েও খাওয়া যায়।
সকালের নাস্তায় ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে, জুস করে কিংবা শরীরচর্চা করার আগে-পরে আম খাওয়া যেতে পারে। কেউ ডায়েট করলে বা ক্যালরি মেপে খেলে দৈনিক খাদ্যতালিকা থেকে আমের ক্যালরি পরিমাণ খাবার বাদ দিলে ভালো করবেন। যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তারা রাতের খাবার খাওয়ার একঘণ্টা পর একটি আম খেতে পারেন। এতে ভালো ঘুম হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।