ধর্ম ডেস্ক : দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। বান্দা আল্লাহর নিকট দোয়া না করলে আল্লাহ রাগান্বিত হন। তিনি বান্দার ডাকে সর্বদা সাড়া দেন। আল্লাহ কোরআনে বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। (সুরা মুমিন:৬০)
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ ضَعِيْفٌ فَقَوِّ فِيْ رِضَاكَ ضُعْفِيْ ، وَخُذْ إِلَى الْخَيْرِ بِنَاصِيَتِىْ، وَاجْعَلِ الْإِسْلَامَ مُنْتَهٰى رِضَآئِـيْ، وَإِنِّيْ ذَلِيْلٌ فَأَعِزَّنِىْ، وَإِنِّيْ فَقِيْرٌ فَارْزُقْنِيْ .
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি যয়িফুন ফাকওয়য়ি ফি রিজাকা যু-ফি। ওয়া খুয ইলাল খাইরি বিনা সিয়াতি। ওয়াজ আলিল ইসলামা মুনতাহা রিজায়ি। ওয়া ইন্নি যলিলুন ফািইযযানি, ওয়া ইন্নি ফাকিরুন ফারযুকনি।
অর্থ: ইয়া আল্লাহ! আমি দুর্বল। আপনার রেযামন্দির বিষয়ে শক্তিতে পরিণত করুন আমার দুর্বলতাকে। আমাকে ঝুটি ধরে কল্যাণের দিকে আকর্ষণ করুন। ইসলামকেই আমার পরম সন্তুষ্টির বিষয় করুন। আমি তো হীন, আমাকে মর্যাদা দিন। আমি তো ভিখারী, আমাকে রিযিক দিন।
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন,
তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি ৬৩৪০)
হাদিসে এসেছে, হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি)
রসুল সা. বলেছেন, যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করে (তিরমিজি ৩৩৮২)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।