জুমবাংলা ডেস্ক: প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সঙ্গে টানা দুই বছর ধরে লড়াই করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে চারটি ঈদ কেটেছে করোনাকে মাথায় নিয়ে, বলতে গেলে একদম নিরানন্দে। দুই বছর পর প্রায় করোনামুক্ত পরিবেশে ঈদ উদযাপন করবে দেশ। তাই এবার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস করাটা স্বাভাবিক। এবার আসন্ন ঈদুল ফিতর ঘিরে প্রায় ৯ দিনের লম্বা ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশ।
সারা মাস পবিত্র রমজানের রোজা শেষে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন মানুষ।
হিসাব অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার অফিস শেষ হবে। পরদিন ২৯ এপ্রিল শুক্রবারের সাপ্তাহিক ছুটি। ১ মে শনিবার মে দিবস। তারপর ২ থেকে ৪ মে ঈদের ছুটি। তার একদিন পরই আবার সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার, মাঝখানে শুধু একদিন ৫ মে (বৃহস্পতিবার) কর্মদিবস। এদিন ছুটি ঘোষণা করা হলে টানা ৯ দিনের ছুটির ফাঁদে পড়বে দেশ।
অনেকে ঈদের বাড়ি ফেরার টিকিট বা বিকল্প ব্যবস্থাও করে রাখছেন। অপরদিকে মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন সে ব্যাপারেও প্রশাসন থেকে শুরু করে সবপর্যায়ে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। মানুষ যেন নির্বিঘ্নে বাড়িতে ফিরে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারে সেজন্যে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
এবার ঈদের ছুটি আগে শুরু হওয়ায় ঘরমুখো মানুষকে ঝামেলামুক্তভাবে গন্তব্যে ফেরানোর আশা প্রকাশ করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে হানিফ পরিবহণের একটি কাউন্টারের কর্মী শফিক বলেন, এবার ঈদে লম্বা ছুটি হবে- তাই অনেকে আগেই পরিবারের সদস্যদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। অনেকে ২০ রোজার পর পাঠানোর জন্য কথা বলে রেখেছেন। আশা করি, এবার আগে থেকেই ঈদের ছুটি শুরু হতে যাওয়ায় যাত্রীদের ঝামেলা পোহাতে হবে না। তাদের নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।