জুমবাংলা ডেস্ক : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও শরীয়তপুরের প্রায় ৩০টি গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা আজ সোমবার থেকে রোজা রাখা শুরু করেছেন।
রবিবার (১০ মার্চ) রাতে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর দরবার শরীফে পবিত্র রমজান উপলক্ষে তারাবির নামাজের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
রাত ৮টায় শুরু হওয়া প্রথম জামাতের ইমামতি করেন মাওলানা জুলহাস উদ্দিন এবং সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় জামাতের ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল কাদির।
জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে সুরেশ্বরের ভক্ত ও অনুরাগীরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করেন। এর মধ্যে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর, কেদারপুর, চাকধ, চন্ডিপুরসহ ৩০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মুসল্লি রয়েছেন। রোজা রাখার উদ্দেশ্যে তারা রোববার রাতে তারাবির নামাজ পড়ে ভোর রাতে সাহরি খেয়েছেন। আজ থেকে রোজা পালন শুরু করে আবার একদিন আগেই পবিত্র ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবেন তারা।
এ বিষয়ে সুরেশ্বর দরবার শরীফের গদীনশীন পীর শাহ মুজাদ্দেদী সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন শাহিন নূরী বলেন, পৃথিবীতে চাঁদ একটাই। তাই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা তারাবি, রোজা ও ঈদ পালন করি। সুরেশ্বর দরবার শরীফের দুইটি মসজিদে প্রায় ১০০ বছর ধরে তারাবির নামাজ আদায় করা হয়। এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় জামাত মিলে প্রায় এক হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে এসেছেন।
তিনি বলেন, সুরেশ্বরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় ৩০টি গ্রামের ২০ হাজার মুসল্লি সোমবার থেকে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।