সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের ঘিওরে হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিত্যক্ত এক বাড়ীতে ছাপড়া ঘর করে বসবাসকারী গৃহহীন এক সংখ্যালঘু বিধবা নারীর ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি কেউ শত্রুতা করে আগন লাগিয়ে দিয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার নালী ইউনিয়নের বাবুর বাড়ী এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে স্থানীয়রা এসে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর থেকেই স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম পার্বতী শীল। তিনি নালী ইউনিয়নের মৃত. আনন্দ শীলের স্ত্রী। নিজেদের বসতভিটা না থাকায় নালী ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে বাবুর বাড়ি এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিত্যক্ত এক বাড়ীতে ছাপড়া ঘর করে বসবাস করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কালাম জানান, বাজারে এসেছিলাম। হঠাৎ দেখি ওই বাড়িতে অনেক আলো জ্বলে উঠেছে। পরে এগিয়ে গিয়ে দেখি ছাপরা ঘরে আগুন লেগেছে। এরপর কয়েকজন মিলে পাশের বাড়ি থেকে পানি এনে আগুন নিভিয়েছি।
পার্বতী শীল বলেন, আমি পাশের বাড়িতে টিভি দেখতে গিয়েছিলাম। মানুষজনের শব্দ পেয়ে সেখান থেকে বের হয়ে দেখি আমার ঘরে আগুন লেগেছে। এসে দেখি এলাকার পোলাপান মিলে আগুন নেভাচ্ছে। আমি ঘরে কয়েলও ধরাইনি, মশারি টানিয়ে ঘুমাই। আমার সাথে কারো শত্রুতা নাই, কিভাবে আগুন লেগেছে জানিনা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস কুদ্দুস মধু বলেন, পরিষদের পেছনে দুই-তিনটা পরিবার থাকে। ওদের নিজস্ব জায়গা জমি নাই। তাদের একটা পাটখড়ির ঘরে আগুন লেগেছিল। মানুষ এসে সাথে সাথে নিভিয়ে ফেলেছে। তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।আগুনের সূত্রপাত কি সেটা কেউ বলতে পারেনা। ওরা নিজেরা্ও বলতে পারেনা। ওদের ভাষ্যমতে কেউ লাগিয়ে দিয়েছে। ওসি সাহেব এবং ইউএনও স্যারকে বিষয়টি জানিয়েছি।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বলেন, পাটখড়ির একটা ঘরে আগুন লেগেছে শুনেছি। কিভাবে আগুন লেগেছে সেটা কেউ বলতে পারছে না। ঘটনার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।