জুমবাংলা ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে পরিণত হয়ে উপকূল অতিক্রমের সময় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯৩ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানে। মিধিলির প্রভাবে নোয়াখালীর উপকূলজুড়ে সড়কের বিভিন্ন অংশে গাছ ভেঙে পড়ে। এতে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ক্ষতি হয়েছে। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও জেলা শহরে মিধিলির প্রভাব পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে নোয়াখালী জেলা শহরের ম্যাটসের পাশে গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এ ছাড়াও দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক না পেয়ে ভোগান্তিতে রয়েছে মানুষ। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে জমির পাকা ধান হেলে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
অন্যদিকে কাশেম নামে এক কৃষক বলেন, নোয়াখালীতে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। সব ধান আমরা তুলতে পারি নাই। অনেক ধান হেলে পড়ায় কৃষকের অনেক ক্ষতি হবে। হাতিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাসেদ বলেন, প্রায় ২০ শতাংশ আমন ধান হেলে পড়েছে। মাঠে থাকা শীতকালীন সবজিরও ক্ষতি হতে পারে। তবে আমরা এখনো পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাইনি। বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে সময় লাগবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নোয়াখালীর জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রচুর বাতাসের কারণে কর্মীরা ঘটনাস্থলে যেতে পারছে না। বাতাস কমলে আমরা সেসব স্থানে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, যেসব স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলোর তালিকা সংগ্রহ চলছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য জেলায় ৪৮৫টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। যেখানে তিন লাখ ৪৮ হাজার উপকূলীয় এলাকার লোকজন আশ্রয় নিতে পারতেন। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিপিপি ৮ হাজার ৩৮০ জন, দুই শতাধিক রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবী, ১০১টি মেডিকেল টিম ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ের জন্য ৪৭৯ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২৪ লাখ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।