বিনোদন ডেস্ক : নেটফ্লিক্স। জনপ্রিয় এই ভিডিও স্ট্রিমিং প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ সার্ভার বসানোর অনুমতি পেয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদাতা ও মোবাইল অপারেটররা। আগামী তিনমাসের মধ্যে বসবে এই সার্ভার। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে নেটফ্লিক্সে কনটেন্ট দেখতে ভোগান্তি কমবে গ্রাহকের। সেই সঙ্গে সাশ্রয় হবে ব্যান্ডউইথ আর কমবে খরচও।
বিশ্বের জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট নেটফ্লিক্স বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য সেবা চালু করে ২০১৬ সালে। এই প্ল্যাটফর্মে যে কোনো স্থান থেকে টিভি শো, মুভিসহ বিভিন্ন কনটেন্ট উপভোগ করতে পারেন নিবন্ধিত গ্রাহকরা। এজন্য মাসে গুনতে হয় ৪ থেকে ১২ ডলারের মতো।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের তথ্যমতে, বাংলাদেশে নেটফ্লিক্সের গ্রাহক সংখ্যা দুই লাখের বেশি। বছরে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার মতো আয় করে প্রতিষ্ঠানটি।
অথচ দেশে নেটফ্লিক্সের কোনো ক্যাশ সার্ভার নেই। এতে হাই রেজ্যুলেশনের কনটেন্ট দেখতে গিয়ে ঠিকমতো প্লে না হওয়া, বারবার আটকে যাওয়াসহ নানা সমস্যায় পড়েন গ্রাহকরা। ফলে খরচ হয় বাড়তি ব্যান্ডউইথও। এ অবস্থায় সম্প্রতি আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে), আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) এবং মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্কে নেটফ্লিক্সের ক্যাশ সার্ভার বসানোর অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
ক্যাশ সার্ভার বসলে বাংলাদেশি গ্রাহকরা একবার কোনো কনটেন্ট নেটফ্লিক্স থেকে ডাউনলোড করলে, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থানীয় সার্ভারে সংরক্ষণ হবে। সংশ্লিষ্ট কনটেন্টটি অন্য কোনো গ্রাহক দেখতে চাইলে স্থানীয় সার্ভার থেকে মুহুর্তেই সরবরাহ করা হবে। এতে ব্যান্ডউইথ খরচও কমবে।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকার ডেটার প্রয়োজন হচ্ছে। সেখানে আমি যখন দ্রুতগতির সেবা পাবো তখন স্বাভাবিকভাবে আমরা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ডেটা কম ব্যবহার করতে পারব।
কোনো আইআইজি বা আইএসপি নেটওয়ার্কে প্রতি মিলি সেকেন্ডে ৩ থেকে ৫ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হলে নেটফ্লিক্সের কাছে ক্যাশ সার্ভার বসানোর আবেদন করতে পারবে। শর্ত মেনে এরইমধ্যে নেটফ্লিক্সের কাছে আবেদন করেছে দেশীয় সেবাদাতারা। যাচাই-বাছাই শেষে সংশ্লিষ্টদের কাছে ক্যাশ সার্ভার পাঠাবে নেটফ্লিক্স।
এবিষয়ে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘ওটিটি হিসেবে আমার ক্রেতা যখন অ্যাক্সেস পাচ্ছে, তখন আমি সেটি নিশ্চিত করার জন্য তার একটি ক্যাশ সার্ভার বসাতেই পারি।’
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেন, তারা সবকিছু পাঠিয়ে দিবেন, আমরা শুধু এটিতে পাওয়ার এবং আমাদের ইন্টারনেট দিবো। এক্ষেত্রে অনেকেই আবেদন করেছে, আমার ধারণা এটি তিন মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে চলে আসবে।
বর্তমানে হাতে গোনা কয়েকটি বাংলাদেশি কনটেন্ট রয়েছে নেটফ্লিক্সে। ক্যাশ সার্ভার বসলে বাড়বে গ্রাহক সংখ্যা। এতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশি কনটেন্ট কেনায় আগ্রহী হবে নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ-এমনটাই বলছেন সেবাদাতারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।