জুমবাংলা ডেস্ক : সরকারি অনুদানের টাকায় দুই রোগীর হার্টে রিং পরানো হয়েছে। তাদের একজন মাছ বিক্রেতা আবু তাহেরকে (৫৫) দুইটি এবং গাড়িচালক শরিফুল ইসলাম (৫৯) একটি রিং পরানো হয়েছে।
রবিবার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের হার্টে রিং পরানো হয়। হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন।
রোববার রাতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, ২৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের অসহায় রোগী সেবা তহবিলে ৭ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।
এরপর আজ (রবিবার) আনুষ্ঠানিকভাবে রিং লাগানো শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে দুজন অসহায় রোগীকে রিং পরানো হয়েছে। এরমধ্যে একজন আবু তাহের, তার বাড়ি বরিশাল জেলার হিজলা থানায়। অন্যজন হলেন শরিফুল ইসলাম, তার বাড়ি ঢাকার বাড্ডার শাহজাদপুর এলাকায়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে প্রতিনিয়তই গরিব অসহায় রোগীরা একটু সুযোগ-সুবিধার জন্য এসে ভিড় জমান। তবে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের অর্থ ছাড় হয়ে আমাদের কাছে আসতে কিছুটা দেরি হওয়ায় আমরা আগে শুরু করতে পারিনি। এখনও অনুদানের অর্থ আমাদের হাতে আসেনি, তারপরও আমরা কোম্পানিগুলো থেকে অগ্রিম রিং নিয়ে লাগিয়েছি। কারণ কিছু রোগী থাকে, যারা খুবই অসহায়, এমনকি চাইলেই তাদের রিং পরাতে দেরি করা সম্ভব হয় না।’
এর আগে ২৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার কাছ থেকে অসহায় রোগী সেবা তহবিলে ৭ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার অনুদানের চেক গ্রহণ করেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন।
জানা যায়, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল অসহায় রোগী সেবা তহবিলটি পরিচালনা করে আসছে। এর আওতায় গরিব ও অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এ তহবিল থেকে শিশু হৃদরোগীদের এএসডি, ভিএসডি চিকিৎসাসহ পিডিএ ডিভাইস ক্লোজার সরবরাহ করা হয়। এছাড়া হাতে ও পায়ের রক্তনালিতে ব্লকের চিকিৎসার জন্য এ তহবিলের আওতায় রিং স্থাপনও করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।