জুমবাংলা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের গডফাদার শামীম ওসমানের পরিবারের দুইটি ভবন ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর চাষাড়া মোড়ের শামীম ওসমানের দাদা ওসমান আলীর নির্মিত ‘বায়তুল আমান’ এক্সকাভেটর দিয়ে ভাঙা শুরু করা হয়।
এর আগে বিক্ষুব্ধরা মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের চাষাঢ়ায় বায়তুল আমানের সামনে এসে পৌঁছালে শুরুতে বড় আকারের হাতুড়ি দিয়ে ভবনটির দেয়াল ভাঙতে শুরু করেন লোকজন। পরে একটি এক্সকাভেটর দিয়ে ভবনটি ভাঙা শুরু হয়। এ সময় ভবনটির ভেতরের একটি অংশে আগুন দেওয়া হয়।
রাত সাড়ে ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভবনটি ভাঙার কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
ঘটনাস্থলে থাকা বিএনপি নেতা আবু আল ইউসুফ খান টিপু সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুনি হাসিনা ও তার ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বছরের পর বছর মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। শামীম ওসমান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী অসংখ্য গুম, খুন করেছে। ওসমান বাহিনীর প্রতি মানুষের যে ক্ষোভ, তা এই ভবনটি ভাঙার মধ্য দিয়ে বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এছাড়া চাষাড়া মোড় বড় করার জন্য নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির নেতারাস নগরবাসী বায়তুল আমান ও রাইফেল ক্লাব ভাঙার দাবি জানিয়ে আসছে।’
এর আগে বেলা ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালত, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের বেশ কয়েকটি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য ভাঙচুর করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
ওসমান পরিবার বিভিন্ন সময়ে দাবি করে আসছে বায়তুল আমানে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার সময়ে বিভিন্ন সভা হয়েছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে এ নিয়ে ব্যাপক দ্বিমত রয়েছে। ‘নারায়ণগঞ্জের সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্য’ বইয়ের লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব রফিউর রাব্বি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার জন্য সভাটি হওয়ার কথা ছিলো ২ নম্বর রেলগেটের রহমতুল্লাহ মুসলিম ইন্সটিটিউটে। কিন্তু সেখানে পাকিস্তান সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে।
আওয়ামী লীগ নেতারা কাশিপুর যাচ্ছিলেন সভা করতে। পথে পাইকপাড়ার মিউচুয়াল ক্লাবে থেমে তারা বলেন, এখানে যেহেতু ১৪৪ ধারা নেই এখানেই মিটিং করা যায়। এরপর সেখানে আওয়ামী লীগ গঠনের জন্য সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বায়তুল আমানের কোনো ভূমিকা নেই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।