জুমবাংলা ডেস্ক : কৃষিজমিতে কাজ করার সময় মাটির নিচের গুপ্তধন পেয়েও ভাগ্য ফিরল না কৃষিশ্রমিক হিম্মত রায়ের। সংবাদ পেয়ে গুপ্তধনগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। নওগাঁর নিয়ামতপুরের মাটিতে এমন গুপ্তধন উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এমন গুপ্তধন উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের কাঁকইল গ্রামে।
জানা গেছে, সোমবার নিয়ামতপুরের কাঁকইল গ্রামে জমিতে কাজ করতে গিয়ে রূপামিশ্রিত কয়েকটি প্লেট ও বাটি পেয়েছেন হিম্মত রায় নামের এক ব্যক্তি। সেগুলো বিক্রি করার আগেই সংবাদ পেয়ে যায় পুলিশ। পরে ওই গুপ্তধন উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় তারা। পরে পরীক্ষা করে জানা যায় সেগুলো রূপার তৈরি।
জানা যায়, উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের হিম্মত রায় হাফিজুর রহমানের জমিতে কৃষিকাজ করছিলেন। কোদাল দিয়ে মাটির কাজ করছিলেন তিনি। এমন সময় জমিতে কোদালের কোপে মাটির নিচে থাকা থালাবাটির মতো কিছু জিনিস দেখতে পান তিনি। পরে কোদাল দিয়ে সেগুলো মাটির নিচ থেকে উপরে এনে দেখেন ধাতুর তৈরি থালাবাঁটি।
হিম্মত রায় জানান, তার কোদালের আঘাতে মাটির নিচ থেকে উঠে আসে রাজা-বাদশার আমলের থালাবাটি। তিনি ভাবেন, এ বুঝি মাটির নিচে লুকানো কোন গুপ্তধন! ভাগ্য সু-প্রসন্ন হয়েছে তার- এমন আশায় সযত্নে থালাবাটিগুলো ঘরে আনেন তিনি। বিকালেই সেগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে স্বর্ণকারের দোকানে নিয়ে যান। স্বর্ণকার সেগুলোকে দামি কিছু মনে করলেও কম মূল্য দিতে চাওয়ায় সেগুলো আবার বাড়িতে ফেরত আনেন হিম্মত রায়। ততক্ষণে ঘটনাটি জানতে পারে পুলিশ। রাতেই হিম্মতের বাড়িতে অভিযানে যায় তারা এবং মাটির নিচ থেকে পাওয়া ৫টি থালাবাটি জব্দ করে থানায় আনে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি তারা জানতে পারেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে হিম্মতের বাড়িতে থাকা থালাবাটি উদ্ধার করা হয়েছে। যার ওজন ১ কেজি ৪০০ গ্রাম। স্বর্ণকার দিয়ে পরীক্ষা করে জানা গেছে এগুলো রূপার তৈরি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।