জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী ক্লিনিকে একসঙ্গে ৩ পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে চিন্তায় আছেন গৃহবধূ নূপুর (২২)। শুক্রবার রাত ৮টায় এই তিন পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এখন হাসপাতাল ও ওষুধের খরচ মেটাতে বিপাকে পড়েছেন ওই দরিদ্র গৃহবধূ।
এদিকে একসঙ্গে তিন পুত্র সন্তানের জন্মদানের খবর পেয়ে তার পরিবারের মধ্যে আনন্দের জোয়ারে বইলেও অর্থাভাবে খরচ বহন করতে না পারায় মহাচিন্তায় আছেন গৃহবধূ নূপুর।
গৃহবধূ নূপুর গাজীপুর সদর মেট্রো থানার ২১নং ওয়ার্ডের নৌকার মাঝি নাজমুলের স্ত্রী। তিনি কোনাবাড়ীর আমবাগ এলাকার পিএন গার্মেন্টসের একজন শ্রমিক ছিলেন। এখন তার চাকরি না থাকায় পরিবারের ভরণ-পোষণ, তিন শিশু সন্তানের খরচ বহন এবং প্রতিদিনের সাংসারিক খরচ চালাতে মহাচিন্তা ও বিপদে আছেন বলে জানান গৃহবধূ নূপুর।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী একজন নৌকার মাঝি। আমি আগে চাকরির বেতন ও স্বামীর আয় দিয়ে কোনোমতে চলতাম। এখন স্বামীর রোজগার দিয়ে কঠিন সময় পাড়ি দিতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে নৌকার কাজও থাকে না। তখন অনাহারে-অর্ধাহারেও থাকতে হয় আমাদের।
তিনি বলেন, ৩ সন্তান সুস্থ থাকলেও আমার শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে এখনো আমাদের রিলিজ দেয়নি। কয়েক দিন পর হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেবে। হাসপাতালের খরচ এবং ওষুধসহ ৭০-৮০ হাজার টাকা দিতে হবে।
এখনো এই টাকাগুলো জোগাড় করতে না পারায় মহাচিন্তা ও বিপদের কথা জানালেন এই প্রসূতি। তাদের এ বিপদ থেকে রেহাই পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিত্তবানদের প্রতি সহযোগিতা কামনা করেছেন নূপুর।
হাসপাতালের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম জানান, গৃহবধূ নূপুর শুরু থেকেই এ হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বুশরা জাহানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। তার পরিবারের মতামতের ভিত্তিতেই তাকে সিজার করানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।