ধর্ম ডেস্ক : নামাজে সূরা ফাতিহার আগে সানা পড়া হয়। সানা পাঠ করা সুন্নত। একাকি নামাজ হোক বা জামাতে নামাজ, ইমাম, মুক্তাদি সবাই সানা পড়ে থাকেন। কেউ নামাজে মাসুবক হলে তিনি ইমামের সঙ্গে নামাজ শেষে যখন ছুটে যাওয়া নামাজের জন্য দাঁড়াবেন তখন সানা পড়ে নেবেন।
তবে কোনো ব্যক্তি যদি প্রথম রাকাত থেকেই ইমামের সঙ্গে নামাজে অংশগ্রহণ করেন, তবে তিনি একেবারে শুরুতেই নামাজের জামাতে অংশ নিতে পারেননি, বরং ইমাম কেরাত শুরু করে দিয়েছেন এমন সময়ে নামাজে অংশ নিয়েছেন অথবা ইমাম প্রথম রাকাতের রুকুতে চলে গেছেন এমন সময় নামাজে অংশ নিয়েছেন—তাহলে তিনি সানা পড়বেন কি না?
এই বিষয়ে ফেকাহবিদ আলেমরা বলেন, ইমাম নামাজ শুরুর পর শব্দ করে কেরাত পড়ার সময় কেউ নামাজে শরিক হলে কিংবা রুকু অবস্থায় শরিক হলে সে সানা পড়বে না।
রুকু অব্স্থায় ইমামের সঙ্গে নামাজে যুক্ত হলে হাতও বাঁধতে হবে না; বরং নিয়ম হলো— প্রথমে দাঁড়ানো অবস্থায় দুহাত তুলে তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত ছেড়ে দেবে, তার পর দাঁড়ানো থেকে তাকবির বলে রুকুতে যাবে।
আর ইমাম আস্তে কেরাত পড়ছেন এমন অবস্থায় কেউ ইমামের সঙ্গে নামাজে শরিক হলে সানা পড়তে পারবে।
(আত তাজনীস ২/৪৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৮৮; আলমুহীতুল বুরহানী ২/১৩৩; আলবাহরুর রায়েক ১/৩১১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৯০)
সানা পড়ার নিয়ম
নামাজে আল্লাহু আকাবার বলে নিয়ত বাঁধার পর প্রথম কাজ হলো- সানা পড়া। এজন্য এটাকে শুরু করার দোয়া বলা হয়।
পুরো নামাজে সানা একবারই পড়তে হয়, একাধিকবার পড়ার নিয়ম নেই। কেননা, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আল্লাহর রাসূল সা. নামাজ শুরু করে (তাকবিরে তাহরিমার পর) বলতেন–
আরবি :
سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالِىْ جَدُّكَ وَلَا اِلَهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণ : সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআ-লা জাদ্দুকা, ওয়ালা ইলাহা গায়রুক।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি, আপনার নাম বরকতপূর্ণ, আপনার মাহাত্ন সুউচ্চ এবং আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই)। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮০৪)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।