জুমবাংলা ডেস্ক : শুরু হয়েছে মা ইলিশ রক্ষা মৌসুম। জেলেরা যাতে এই সময় ইলিশ না ধরেন সে জন্য সতর্ক নৌ পুলিশ। নদীতে সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে তারা।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে চাঁদপুরে আলুর বাজার নৌ পুলিশের একটি দল টহল দিচ্ছিল মেঘনা নদীতে।
হঠাৎ তাদের চোখ পড়ে নদীপারের একটি চরে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারীর দিকে। দ্রুত তার পাশে ছুটে যায় টহলরত দল। সারা শরীর ভেজা ওই নারী তখন কাঁপছিলেন।
এরপর তাকে উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
স্বাভাবিক হয়ে ওই নারী তার পরিচয় দেন। শাহনাজ বেগম (৩০) নামের ওই নারী পুলিশকে জানিয়েছেন, তার বাড়ি ভোলায়। বুধবার সন্ধ্যায় ভোলা থেকে রাজধানী ঢাকাগামী যাত্রীবাহী একটি লঞ্চের যাত্রী ছিলেন তিনি।
তার দাবি, মধ্যরাতে কেউ একজন কথা আছে বলে তাকে লঞ্চের ছাদে নিয়ে যায়।
একপর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দেয় তাকে। কয়েক ঘণ্টা সাঁতার কেটে তিনি বৃহস্পতিবার ভোরে চাঁদপুরে মেঘনা নদীর জনমানবহীন চর মুকুন্দে আশ্রয় নেন।
তিনি অভিযোগ করেন, স্বামীর সংসারে ভালোই কাটছিল তার। কিন্তু সামান্য জমি নিয়ে দেবর ইব্রাহিমের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। যার কারণে কয়েক দিন আগে নির্যাতন চালানো হয় তার ওপর।
পরে হত্যার উদ্দেশ্যে ভোলা থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চে তুলে দেওয়া হয়।
চাঁদপুরে নৌ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, নদীতে টহল দেওয়ার সময় নৌ পুলিশের নজরে পড়েন এই নারী। তার বিষয় খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কী কারণে কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে নৌ পুলিশ। ভোলায় তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সুস্থ আছেন শাহনাজ বেগম নামের ওই নারী। চাঁদপুরে নৌ পুলিশ হেফাজতে আছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গৃহবধূ শাহনাজ বেগম ভোলার ইলিশাঘাটের চৌরাস্তা এলাকার খোকন মিয়ার স্ত্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।