Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home হযরত ইসমাইল (আঃ)-এর কুরবানীর ঘটনা
ইসলাম ধর্ম

হযরত ইসমাইল (আঃ)-এর কুরবানীর ঘটনা

Shamim RezaJune 14, 20243 Mins Read
Advertisement

ধর্ম ডেস্ক : হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের দোয়ার ফসল হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম। তিনি আল্লাহর কাছে নেক সন্তানের দোয়া করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর এ দোয়া কবুল করে সহনশীল এক ছেলে সন্তান দান করেছিলেন। যিনি হলেন হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম।

Ishmael

কুরআনুল কারিমে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের দোয়া কবুল হওয়া এবং এ সন্তানকে কুরবানি দেয়ার নির্দেশ ও ঘটনা সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। কুরআনের ছেলে সন্তান লাভ ও কুরবানির ধারাবাহিক বর্ণনা এভাবে উঠে এসেছে-

– হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের প্রার্থনা

رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ

’হে আমার প্রভু! আমাকে এক সৎ ছেলে সন্তান দান করুন।’ (সুরা সাফফাত : আয়াত ১০০)

– সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ

فَبَشَّرْنَاهُ بِغُلَامٍ حَلِيمٍ

’সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।’ (সুরা সাফফাত : আয়াত ১০১)

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামকে সহনশীল হিসেবে উল্লেখ করেন। সত্যিই হজরত ইসমাইল ছিলেন সহনশীল। কেননা তিনি তার কথা ও কাজে আল্লাহর দেয়া বিশেষণে নিজেকে রাঙিয়ে ছিলেন। সে ঘটনাও উঠে এসেছে কুরআনে।

– কুরবানির নির্দেশ ও বাস্তবায়নের ঘটনার বর্ণনা

فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانظُرْ مَاذَا تَرَى قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِن شَاء اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ

অতপর যখন সে পিতার সঙ্গে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইবরাহিম তাকে বলল, হে বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, তোমাকে জবেহ করছি। এখন তোমার অভিমত কি? সে (ইসমাইল) বলল, হে পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে সবরকারী (সহনশীল) পাবেন।’ (সুরা সাফফাত : আয়াত ১০২)

فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ

’যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইবরাহিম তাকে জবেহ করার জন্যে শায়িত করল।’ (সুরা সাফফাত : আয়াত ১০৩)

وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ

’তখন আমি তাকে ডেকে বললাম, হে ইবরাহিম!’ (সুরা সাফফাত : আয়াত ১০৪)

হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম স্বপ্নে কুরবানির নির্দেশ পেয়ে যখন বাস্তবায়ন করলেন তখন আল্লাহ তাআলা তাঁকে উদ্দেশ্য করে বললেন-

قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ

’তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।’ (সুরা সাফফাত : আয়াত ১০৫)

আল্লাহ তাআলা কর্তৃক কুরবানির এ নির্দেশ ছিল হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের জন্য তাঁর নৈকট্য অর্জনের এক মহাপরীক্ষা। আল্লাহ তাআলা বলেন-

إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْبَلَاء الْمُبِينُ

’নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।’ (সুরা সাফফাত : আয়াত ১০৬)

কুরবানির পশু মহান আল্লাহর অপূর্ব দান। হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামের পরিবর্তে তিনি জবেহের জন্য তাৎক্ষনিক এক জন্তু পাঠিয়ে তা জবেহ করার ব্যবস্থা করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ

’আমি তার (ইসমাইল আলাইহিস সালামের) পরিবর্তে দিলাম জবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।’ (সুরা সাফফাত : আয়াত ১০৭)

হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের প্রতি শান্তি

কুরবানির ঘটনায় উত্তীর্ণ হওয়ায় হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের প্রতি শান্তির ঘোষণা দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ – سَلَامٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ – كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ

‘আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে, ইবরাহিমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।’ (সুরা সাফফাত : আয়াত ১০৮-১১০)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের কুরবানি হবে শুধু আল্লাহর জন্য। এটি তাকওয়া সমৃদ্ধ অনন্য ইবাদত। পরিশুদ্ধ নিয়ত ছাড়া মানুষের এ কুরবানি গ্রহণযোগ্য হবে না। কেননা কুরবানির পশু রক্ত, গোশত কোনো কিছুই মহান আল্লাহর কাছে পৌঁছে না। মহান আল্লাহ বলেন-

لَن يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَكِن يَنَالُهُ التَّقْوَى مِنكُمْ كَذَلِكَ سَخَّرَهَا لَكُمْ لِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَبَشِّرِ الْمُحْسِنِينَ

এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।’ (সুরা হজ : আয়াত ৩৭)

কুরবানী করার নিয়ম

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাকওয়া প্রদর্শনে কুরবানি করার তাওফিক দান করুন। কুরবানির মাধ্যমে প্রত্যেককে সহনশীল হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
(আঃ)-এর ইসমাইল ইসলাম কুরবানীর কুরবানীর ইতিহাস কুরবানীর ঘটনা ঘটনা ধর্ম হযরত
Related Posts
জানাজার নামাজের নিয়ম

জানাজার নামাজের নিয়ম, দোয়া ও ফজিলত

December 20, 2025
গায়েবানা জানাযা

গায়েবানা জানাযা কি, কখন কিভাবে আদায় করতে হয়?

December 20, 2025
জান্নাত লাভের যোগ্য

যেসব গুণ মানুষকে জান্নাত লাভের যোগ্য করে তোলে

December 19, 2025
Latest News
জানাজার নামাজের নিয়ম

জানাজার নামাজের নিয়ম, দোয়া ও ফজিলত

গায়েবানা জানাযা

গায়েবানা জানাযা কি, কখন কিভাবে আদায় করতে হয়?

জান্নাত লাভের যোগ্য

যেসব গুণ মানুষকে জান্নাত লাভের যোগ্য করে তোলে

জুমা

জুমার দিন যে দোয়া পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

ঋণ মুক্তির দোয়া

ঋণ মুক্তির দোয়া কখন-কীভাবে পড়বেন?

তালাক

তালাক পরবর্তী মীমাংসায় ইসলামের নির্দেশনা

মূলনীতি

কোরআন ও সুন্নাহর মতে সফল মুমিনের তিন মূলনীতি

ভালোবাসা

কোরআন ও হাদিসের আলোকে আল্লাহর ভালোবাসা লাভের ১০ আমল

রিজিক

হাদিসের আলোকে রিজিক বৃদ্ধি

আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি

আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি কী—আলেমদের মতামত ও কোরআন-হাদিসের দলিল

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.