জুমবাংলা ডেস্ক : ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১১ কিলোমিটার বেগে উপকূলে আঘাত করা ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব যেন শেষ হচ্ছে না। টানা গত দুই দিন ধরে দেশজুড়ে বৃষ্টি ঝড়িয়ে এবার বাড়াচ্ছে অস্বস্তিকর গরম। আর এই গরম কয়েকদিন চলার পর আবারো চোখ রাঙাবে তাপপ্রবাহ।
ঘূর্নিঝড় ‘রিমাল’ গত রবিবার মধ্যরাতে উপকূলে উঠে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর গতি হারিয়ে যশোরের উপরে গতকাল দিনভর অবস্থান করছিল। আর এর প্রভাবে সারা দেশে বৃষ্টিতে নগরগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়ে এবং মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। আজ মঙ্গলবার থেকে স্থল নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং বিকেলে স্থল লঘুচাপ হিসেবে রূপ নিয়ে সিলেটে অবস্থান করছিল। এটি ক্রমান্বয়ে বৃষ্টি ঘটিয়ে ভারতের দিকে চলে যাচ্ছে। তবে এর প্রভাবে ভ্যাপসা গরম বাড়ছে।
সঞ্জীভা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে ‘মাংসের দলা’ উদ্ধারসঞ্জীভা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে ‘মাংসের দলা’ উদ্ধার
ভ্যাপসা গরম বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ড. আবুল কালাম মল্লিক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে বাতাসে ও মাটিতে জলীয় বাষ্পের আধিক্য বেশি। আর এতে আমাদের শরীরের ঘাম শুকাচ্ছে না। অর্থাৎ, বায়ুমন্ডল শরীর থেকে ঘাম শোষণ করে নিচ্ছে না বলে আমাদের কাছে গরমটা অস্বস্তিকর লাগছে।’
এই অস্বস্থি কতোদিন থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধীরে ধীরে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য কমে যাবে এবং পর্যায়ক্রমে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। মৌসুমী বায়ু প্রবেশের আগে তাপপ্রবাহের দেখাও মিলতে পারে।
মৌসুমী বায়ু প্রবেশের আগে মৌসুম সেট হতে সাগরে এমন একটি নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।