জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, “ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল একসাথে মিটিং করেছে। কখনো শিবির সভাপতি ছিল, কখনো ছাত্রদল সভাপতি ছিল। জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে কথা বলতে হলে অবশ্যই দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা উচিত।
আইনশৃঙ্খলা বলতে আগে যা ছিল, মানুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া হতো, কথা বলতে পারতো না, ঘুম হয়েছে কিনা তাও জানতে পারতো না, লাশ কোথায় আছে তার খবর ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জনগণের সংগঠন। জনগণের আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে। বিগত ১৫ বছরে ভোট দিতে পারেনি, সেই জায়গায় জামায়াতে ইসলামী মনে করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার। জামায়াতে ইসলামী জোটবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধভাবে জাতি বিনির্মাণে কাজ করছে।”
ড. মাসুদ বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বলতে আগে যা ছিল, এখন তার উন্নতি হয়েছে। আগে মানুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া হতো, কথা বলতে পারতো না, লাশ কোথায় আছে তার খবর ছিল না। এখন সেই জায়গাগুলো থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে।
বিগত ১৫ বছরের ধ্বংসের পর বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করা সহজ কাজ নয়। এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আরও সময় দেওয়া দরকার। পুলিশ, র্যাব ও আর্মির সংস্কারের কাজগুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা নজরে রাখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের সচেতনতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয় দরকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সরকার, পুলিশ, র্যাব ও আর্মি একা যথেষ্ট নয়। বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো সরকারকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে হবে। বিগত ১৫ বছরে আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছুই ছিল না, এখন অবনতি ঘটেছে।”
ড. মাসুদ বলেন, “নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তৈরি হলে জোটের রূপরেখা চূড়ান্ত হবে। ইসলামপন্থী দলগুলোর সাথে আমাদের আলোচনা এগিয়ে আছে। এদেশের মানুষের আগ্রহ আছে ইসলামপন্থী দলগুলোকে সুযোগ দেওয়ার। নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জাতীয় ঐক্য, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও সহনশীলতা বজায় রাখার প্রত্যাশা করি।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।