খুব শীগ্রই স্মার্টফোনের যুগ শেষ হয়ে যাবে, বিল গেটসের ভবিষ্যদ্বাণী

স্মার্টফোন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ইন্টারনেটেথ রমরমা যত বেড়েছে তত বেড়েছে মোবাইলের ব্যবহার। এখন তো মানুষ একটা মিনিটও নিজের মোবাইল ছাড়া থাকতে পারেনা। কয়েক ইঞ্চির একটা মুঠোফোনেই রয়েছে ব্যক্তিগত, পেশাগত সমস্ত তথ্য। আর তাই মোবাইল যে মানুষের জীবনের একটা অপরিহার্য বস্তু হয়ে উঠেছে তা বলাই বাহুল্য।

স্মার্টফোন

এখন প্রতিটি মোবাইল ফোনের বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যখন মোবাইল কোম্পানিগুলি এগুলি তৈরি করে তখন তারা প্রতিবার একটি নতুন বৈশিষ্ট্য দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায়, আমরা যদি আপনাকে বলি যে, ভবিষ্যতে স্মার্ট ফোনের অস্তিত্ব সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে যাবে, তাহলে আপনি কি আমাদের কথা বিশ্বাস করবেন?

কথাটা হয়তো অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য এবং হাস্যকর লাগবে। অবশ্য লাগাটাই স্বাভাবিক। তবে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন যা মোবাইল ফোনের ভবিষ্যতকে অনিশ্চিয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

স্মার্ট ফোন কি সত্যিই শেষ হয়ে যাবে : আজকের আধুনিক যুগে প্রযুক্তি খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কিপ্যাড ছেড়ে আমরা পৌঁছে গেছি টাচপ্যাডে। এমতাবস্থায় মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এক বিশেষ ধরনের দাবি রেখেছেন। বিল গেটস বলেছেন যে আগামী সময়ে, ইলেকট্রনিক ট্যাটু স্মার্ট ফোনের জায়গা নিতে পারে, যার কারণে স্মার্ট ফোনগুলি বাজার থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এই ইলেকট্রনিক ট্যাটুগুলি CHAOTIC MOON নামে একটি সংস্থা চালু করেছে, যা এক ধরণের জৈব প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে ট্যাটু তৈরি করে।

এই ট্যাটুগুলির মাধ্যমে, মানবদেহ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়, যার কারণে এগুলি বর্তমানে খেলাধুলা এবং চিকিৎসা লাইনে ব্যবহৃত হয়। সংস্থাটি এই ট্যাটুগুলি নিয়ে আরো নানান ধরনের পরীক্ষা নিরিক্ষা করছে যা ভবিষ্যতে স্মার্ট ফোনের জায়গা নিতে পারে।

সরকারি অনুদানের রিং পেলেন মাছ বিক্রেতা ও গাড়িচালক

বড় কথা বললেন নোকিয়ার সিইও : নোকিয়া কোম্পানির সিইও পেক্কা লুন্ডমার্কও স্মার্ট ফোনের অদৃশ্য হওয়ার বিষয়ে একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন, যার মতে 6G প্রযুক্তি 2030 সাল নাগাদ শুরু হবে এবং সেই সময়ে স্মার্ট ফোন তার সাধারণ ইন্টারফেসে থাকবে না। নোকিয়ার সিইও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে মোবাইল ফোনের জায়গায় স্মার্ট চশমা বা অন্য কোনো ধরনের পণ্য ব্যবহার করা হবে, যা সরাসরি আমাদের শরীরের সাথে কানেক্টেড হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে ভবিষ্যতে এই বিষয়টি আমাদের জীবনকে আবার পুরোপুরি বদলে দেওয়ার কাজ করবে।